জলের অপর নাম জীবন। সুস্বাস্থ্যের জন্য জল সবসময়ই ভীষণভাব প্রয়োজনীয়। কিডনি ভালো রাখতে, কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, শরীরে শক্তির জন্য জল খাওয়া ভীষণভাবে দরকারি। গরম জল এইসবের সঙ্গেই আরও বেশকিছু উপকার করে আপনার শরীরে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কাজ দেয় গরম জল।
ভালো পরিপাক
পরিপাক হরমোনগুলিকে উদ্দীপিত করে গরম জল। ফলে পরিপাকের হার বাড়ে। খাবারকে দ্রুত ভাঙতে ও খাদ্যরস শোষণে সাহায্য করে গরম জল। এই কারণে রেস্তরাঁয় খাবার পর চা-কফি অফার করা হয়।
ডিটক্স
গরম জল ঘাম ও মূত্রের মধ্যে দিয়ে শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। গরম জল শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঘাম বেশি হয়। শরীর ডিটক্স হয়।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
গরম জল রক্তে ফ্যাট জমতে দেয় না। রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। পেশীকে শিথিল করে। ফলে রক্ত সহজেই সংবাহিত হতে পারে। গরম জলে স্নানও একই কারণে উপকারী। ধমনী ও শিরাকে প্রসারিত করে গরম জলে স্নান।
যন্ত্রণার উপশম ঘটায়
মাথা যন্ত্রণা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডে খিঁচুনিতে আরাম দেয় গরম জল।
ওজন ঝরাতে সাহায্য করে
শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে গরম জল। গরম জল খিদে কমায়। ফলে ‘ক্যালোরি ইনটেক’ কম হয়। যে কারণে ওজন বৃদ্ধি হয় না। অনেক ডায়েট খাবারের থেকেও ভালো কাজ দেয় গরম জল।
বার্ধক্য আসতে দেয় না
যেকোনও অ্যান্টি-এজিং প্রোডাক্টের চেয়ে অনেক বেশি কাজ দেয় গরম জল। ঘরম জল যেহেতু শরীরকে ডিটক্স করে, ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। বলিরেখা আসতে দেয় না।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শরীর শুষ্ক হয়ে গেলেই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। কারণ অন্ত্রের মধ্যে দিয়ে তখন আর খাবার নীচের দিকে নামতে পারে না। গরম জল শরীরে জলের সমতা ফেরায়। খাবারকে তাড়াতাড়ি পরিপাক করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ত্বক পরিষ্কার করে
গরম জল খেলে ত্বকের রোম কূপগুলি খুলে যায়। ফলে টক্সিন, শরীর দূষিত পদার্থ, শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে গরম জল হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ফলে ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। পাশাপাশি শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে। ফলে ব্রণ, অ্যাকনের মত ত্বকের সংক্রমণ কম হয়।
চুলের সুস্বাস্থ্যে উপযোগী
গরম জল চুলের গোড়ায় স্নায়ুকে সচল রাখে। রক্ত সঞ্চালন ভালো করে। ফলে চুল নরম থাকে ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। চুল তাড়াতাড়ি বড় হয়। প্রতি চুল কোষে এক চতুর্থাংশ জল থাকে। গরম জল চুলে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
খুসকি দুর করে
গরম জল খুসকি দূর করে। স্কাল্পকে হাইড্রেটেড রাখে গরম জল অর্থাত্ করোটির কোষকে শুষ্ক হতে দেয় না। ফলে খুসকি তৈরি হয় না।
সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়
জল একটু গরম করে খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। কারণ জলের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারণ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব বেশি তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে না।
পরিপাকের হার বাড়ায়
দু’কাপ গরম জল খেলে পরিপাকের হার বা মেটাবলিক রেট বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ। গরম জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যা পরিপাককে দ্রুত করে।
গলা খুসখুসে আরামদায়ক
ঠান্ডা লেগে গলা খুসখুস, গলায় ব্যথায় একদম ঘরোয়া ওষুধ হল গরম জল। গরম জল খেলে মিউকাস পর্দা ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমে যায়। সর্দি-কাশিতে দারুণ আরাম দেয় গরম জল। অনেকে সর্দি কমাতে ভেপার নিয়ে থাকেন।
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…
এই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি পান করার বিকল্প নেই। এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। এছাড়া মিষ্টি স্বাদের ডাবের পানি…
পাইলস খুব পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য বয়সীদের…
আইস বাথ বা বরফ পানি দিয়ে গোসল করেন অনেকেই। তীব্র গরমে অনেকেই ক্রায়োথেরাপিতে ডুব দিচ্ছেন। বরফ বা কনকনে ঠান্ডা পানিতে…
তীব্র তাপপ্রবাহ বা গরমের অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে সূর্যের আলো ও তাপ এড়িয়ে চলার…
ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি নানাবিধ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে বিভিন্ন প্রকার বেসরকারি স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে। আর…