যমজ বাচ্চা সম্পর্কিত কিছু অবাক করা তথ্য, জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

Written by News Desk

Published on:

যমজ বাচ্চা নিয়ে সবারই কৌতূহলের কমতি নেই। কখনো হয়তো বা দেখে থাকবেন যমজ দুই বাচ্চা একে অন্যের সঙ্গে অস্পষ্ট স্বরে কথা বলছে! সবাই ভাবে, তারা খেলা করছে। তবে জানেন কি? শুধু তারাই সেই ভাষা বুঝতে এবং বলতে পারে। এই ভাষার নাম ক্রিপ্টোফেসিয়া।

বাচ্চারা যত বড় হয়, ততই এই ভাষার ব্যবহার কমতে শুরু করে। অন্য ভাষা শেখার ফলে ক্রিপ্টোফেসিয়া ওরা ভুলে যায়। পুরো ব্যাপারটাই কিন্তু ভারী অদ্ভুত এবং মজার। যমজ গর্ভাবস্থা নিয়ে এরকম কিন্তু অনেক অদ্ভুত তথ্য আছে, যা আমরা মোটেই জানি না। আজকে সে রকমই কিছু তথ্য জেনে নিন-

১. যমজ সন্তানের মায়েরা বেশিদিন বাঁচেন-বিশ্বাস নাই করতে পারেন, কিন্তু এর একেবারে পাকা প্রমাণ আছে। ‘ইউনিভার্সিটি অব উটাহ’-র গবেষকরা, ১৮০০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত সমস্ত রেকর্ড ঘেঁটে দেখেছেন, যেসব মায়েদের যমজ সন্তান আছে, তারা যাদের যমজ সন্তান নেই, তাদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচেন।

২. যমজ গর্ভাবস্থায় বেশি যত্ন প্রয়োজন-গর্ভে জোড়া সন্তান থাকলে রক্ত স্বল্পতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। সেই সঙ্গে দিনে অন্তত ২৭৭ ক্যালরি খাওয়া দরকার। অতিরিক্ত ভিটামিন এবং মিনারেলও নিতে হতে পারে হবু মাকে।

৩. যমজ সন্তানের জন্ম সময়-বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যমজ সন্তানরা প্রেগনেন্সির ৩৭ সপ্তাহেই জন্মগ্রহণ করে।

৪. গর্ভাবস্থায় নামকরণ যমজ বাচ্চাদের করা হয়। সার্ভিক্স অর্থাৎ জরায়ুর নীচের দিকে যে বাচ্চা থাকে, তাকে বলা হয় বেবি এ ও অন্য জনকে বেবি বি।

৫. যমজ বাচ্চাদের ডেলিভারি প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে-বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, বাচ্চারস্বাভাবিক ডেলিভারি করা হয়। তবে ডেলিভারির ক্ষেত্রে অবশ্য সি-সেকশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে দু’বার জরায়ুর সংকোচনের ফলে বাচ্চার অস্বস্তি হতে পারে। এজন্য ডাক্তাররা বাচ্চাকে সি-সেকশন করে পেট থেকে বার করতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

৬. ভ্যানিশিং টুইন সিনড্রম, একজন বাচ্চা আর একজনকে খেয়ে ফেলছে। শুনে কোনো ভৌতিক সিনেমার দৃশ্য মনে হলেও টুইন প্রেগনেন্সিতে এমন হতে পারে। দেখা গেছে ১০-১৫ শতাংশ প্রেগনেন্সিতে গর্ভে জোড়া বাচ্চা থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থার শুরুর দিকেই একটি বাচ্চা উধাও হয়ে যায়। একেই ডাক্তারি পরিভাষায় ভ্যানিশিং টুইন সিন্ড্রম বলে। সহজভাবে বললে একজন আর একজনকে খেয়ে ফেলতে পারে। কীভাবে তার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

৭. পারিবারিক ইতিহাস ও যমজ সন্তান-সাধারণত পরিবারে যমজ সন্তানের ইতিহাস থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৮. যমজ সন্তানের বাবা আলাদা হতে পারে-এরকম ঘটনা কম ঘটলেও মেডিক্যালি সম্ভব। কোনও মহিলার যদি মাসে একটির বদলে দুটো ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়, এবং দু’জন আলাদা পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা মহিলা গর্ভবতী হন, সেক্ষেত্রে সন্তানরা যমজ হলেও, তাদের বাবা আলাদা হতে পারে।

RS

Related News