পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএসের সমস্যায় অনেকে নারী ভুগছেন। হরমোনাল এ সমস্যা নারীদেহে খুব স্বাভাবিক। মূলত অনিয়মিত জীবনযাপনের প্রভাবে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।
বিশ্বজুড়ে বন্ধ্যাত্বের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পিসিওডি। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলে অনেকটাই সুস্থতা মেলে এ রোগ থেকে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চা করতেই হবে।
পিসিওডি কী?
এ ক্ষেত্রে ওভারিতে একাধিক সিস্ট দেখা যায়। সিস্টগুলোতে ফ্লুইড থাকে। পিরিয়ড সঠিক সময় না হওয়ার কারণেই মূলত পিসিওডি হতে পারে। পিসিওডিতে আক্রান্তদের ওভারি সাধারণের তুলনায় আকারে বড় হয়ে যায়। অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি করতে থাকে। এ অবস্থাকে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি বলা হয়।
এ বিষয়ে দুবাইয়ের পুষ্টিবিদ সাদাফ তার ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, পিসিওএস থাকলে নিজেকে খুব নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। বিশেষ করে, খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে শরীরচর্চা জরুরি। এমনকি পিসিওএস থাকলে কয়েকটি কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী-
>> খাবার এড়িয়ে না গিয়ে সময়মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবারের আগে ফল বা স্ন্যাকস, লাঞ্চ, বিকেলের স্ন্যাকস ও রাতের খাবার দৈনিক ঠিক সময়মতো খাবেন।
বেশিক্ষণ খাবার না খেলে ব্ল্যাড সুগার নেমে যায়। ফলে শরীরে বিরক্তি ভাব দেখা দিতে থাকে। আবার অনেকক্ষণ খাবার না খেয়ে পরে একসঙ্গে বেশি খেলে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
>> নিয়মিত শাক-সবজি খেতে হবে। কারণ এতে অনেক ফাইবার ও ভিটামিন থাকে। একইসঙ্গে ক্যালোরির মাত্রাও বজায় থাকে। তাই খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত শাক-সবজি রাখতে হবে।
>> চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া এড়াতে হবে। তবে ভালো চর্বি কিংবা ওমেগা থ্রি ফ্যাট অথবা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের পক্ষে খুব ভালো। তাই সেগুলো রাখুন খাদ্যতালিকায়।
যদি সঠিক পরিমাণে ফ্যাট শরীরে না থাকে তবে প্রদাহ বেড়ে যায়। ব্ল্যাড সুগারের মাত্রা ও ইনসুলিনের মাত্রা কমতে শুরু করে। যা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।
>> যেহেতু পিসিওএসে আক্রান্তরা খুব সহজেই মুটিয়ে যান, তাই নিয়মিত সক্রিয় থাকতে হবে। এ জন্য শরীরচর্চার বিকল্প নেই।
তীব্র তাপপবাহের কারণে এখন অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিনই রাস্তায় বের হলে কারও না কারও সঙ্গে ঘটে চলেছে এমন মর্মান্তিক…
ফুসফুস শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। কোনো কারণে ফুসফুস সঠিকভাবে না কাজ করলে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। আর শ্বাস নিতে না পারলে…
গরমে স্বস্তি পেতে সাদা রঙের পোশাক পরছেন অনেকেই। কারণ সাদাসহ হালকা রঙের পোশাক পরলে শরীর ঠান্ডা থাকে। তবে সাদা পোশাকে…
গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই দই বা লাচ্ছি খান। পেট ঠান্ডা রাখতে ও খাবার হজম করতে দই খুবই উপকারী, এ…
শীতের শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়ার ওঠা-নামায় এ সময় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধছে। ঠান্ডা-জ্বর-কাশিসহ ডায়রিয়ার প্রকোপও বেড়ে যায়…
ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকে প্রোটিন, ফলে প্রতিদিন একাধিক ডিম খেলে ছোট-বড় রোগের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। এমনিতে…