যেসব খাবার খেলে দূর হবে গ্যাস?

গ্যাসের সমস্যা কমবেশি সবারই আছে। এই সমস্যা থেকেই দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা। অনেক রকম উপায় মেনে চলে, অনেক ওষুধ-পথ্য খেয়েও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খাবার রয়েছে যা একটু নিয়ম মেনে খেলেই মিলবে মুক্তি। আসুন সে খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

* কলা: এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা এসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে একটি বাফার বা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলেই আপনার আর কখনো গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হবে না।

* তুলসি পাতা: তুলসি পাতা পাকস্থলিতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা যোগায়। এর রয়েছে শীতলীকরন এবং বায়ুনাশক উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক এসিডের কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক। গ্যাসের সমস্যা হলেই ৫-৬টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অথবা ৩-৪টি তুলসি পাতা সেদ্ধ করে জলটুকু মধু দিয়ে পান করুন।

* দারুচিনি: বেশিরভাগ হজমজনতি সমস্যার ওষুধ দারুচিনি। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এবং শোষণক্রিয়াকে শক্তিশালি করে। আধা চা চামচ দারুচিনি গুড়ো এক কাপ জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারুচিনি জুস পান করুন।

* পুদিনা পাতা: এসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায় পুদিনা পাতা। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে। যা এসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমায়। কয়েকটি পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে একটি পাত্রে জল নিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর জলটুক ছেঁকে ঠাণ্ডা করে পান করুন।

* মৌরি বীজ: তাৎক্ষণিকভাবে এসিড কমিয়ে স্বস্তি এনে দেয় মৌরি বীজ। খাবার খাওয়ার পর এই বীজ চিবিয়ে খেলে এই উপকার পাওয়া যায়। বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায়ও এটি বেশ কার্যকর। আধাকাপ জলে কয়েকটি মৌরি বীজ নিয়ে সেদ্ধ করে জলটুকু পান করুন।

* ঘোল: এটি তাৎক্ষণিকভাবে এসিড কমিয়ে স্বস্তি এনে দেয়। এতে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলিতে এসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোল মরিচ যোগ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।

* লবঙ্গ: এটি পাকিস্থলিতে গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে আপনি গ্যাসের সমস্যা চিরতরে থেকে মুক্তি পাবেন।

* ডাবের জল: ডাবের জল পাকস্থলিতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়ক। যা পাকস্থলিকে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডাবের জল পান করলে দেহের পিএইচ অ্যাসিডিক লেভেল ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হয়।

* ঠাণ্ডা দুধ: ঠাণ্ডা দুধ খেলে পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক এসিড স্থিতিশীল হয়ে আসে। দুধে আছে ক্যালসিয়াম যা পাকস্থলিতে এসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। সুতরাং অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করুন।

* এলাচ: এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং পাকস্থলির খিঁচুনি দূর করতে সহায়ক। এটি অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের কুপ্রভাব দূর করে। দুটি এলাচ গুড়ো করে জলে সেদ্ধ করে জলটুক পান করুন।

News Desk

Recent Posts

এক জুসেই ত্বক হবে উজ্জ্বল, কমবে চুল পড়া

ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কতজনই না নামিদামি সব প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে আদৌ সেগুলো ত্বক বা চুলের জন্য ভালো…

7 hours ago

বিবাহিত পুরুষরা কেন অন্যের স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হন?

বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত পুরুষদের মধ্যে অনেকেই গোপনে অন্যের স্ত্রীতে আকৃষ্ট হন। একজন বিবাহিত পুরুষ যদি অন্য নারীর প্রেমে পড়েন…

8 hours ago

গরমে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

ঘাম দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘামে সাধারণত গন্ধ হয় না। কিন্তু যখন ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হয়; তখন ঘামে দুর্গন্ধ…

8 hours ago

ডায়াবেটিস রোগীরা যে ৫ ভুল একেবারেই করবেন না

ডায়াবেটিসে আক্রন্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। একবার ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে…

11 hours ago

গলা ও ঘাড়ের যে লক্ষণ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়

অনিয়মিত জীবনযাপনসহ বায়ুদূষণ কিংবা শরীরে রাসায়নিক দ্রব্য প্রবেশের কারণে বিগত কয়েক দশকে ক্যানসারের ঝুঁকি ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবছর বিশ্বে…

13 hours ago

গরমে অতিরিক্ত লেবু পানি পান করা হতে পারে বিপজ্জনক

গরমে এক গ্লাস লেবু পানি সব ক্লান্তি দূর করে ও মনে প্রশান্তি আনে। এটি এমন একটি পানীয় যা কমবেশি সবাই…

14 hours ago