করোনাভাইরাস আতঙ্কের এই সময়ে বেড়েছে সর্দি-কাশির মতো অসুখের ঘটনাও। প্রতি বছর ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি দেখা দেওয়া সাধারণ ঘটনা। তবে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে লক্ষণগুলো গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই। কোনটি সাধারণ সর্দি-কাশি আর কোনটি করোনার লক্ষণ তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সর্দি-কাশিকেও অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ এটি হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা লং কোভিডের মতো সমস্যার লক্ষণ।
সর্দি-কাশি আমাদের জন্য সাধারণ ঘটনা, আমরা মাঝেমাঝেই এই সমস্যায় ভুগে থাকি। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে কঠোর বিধি-নিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়েছে। তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো রোগ নির্ণয়ে দেরি করবেন না।
সর্দি-কাশি কতদিন থাকে?
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থকে সর্দি-কাশি হতে পারে। সংক্রমণের ২-৫ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। বেশিরভাগ উপসর্গ ঠান্ডা, অ্যালার্জি বা করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। তবে সাধারণ সর্দি-কাশি হলে তা ৫-৭ দিন স্থায়ী হবে। তবে যদি কেউ আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন বা যদি কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তবে সেক্ষেত্রে পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। সংক্রমণ ভালো হয়ে যাওয়ার পরও সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে এই কাজগুলো করুন-
ঘরে থাকুন
ফ্লু-র কারণে সৃষ্ট সাধারণ সর্দি-কাশি করোনাভাইরাসের তুলনায় অনেকটা কম সংক্রামক, তবুও বিশেষজ্ঞরা আক্রান্ত হলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। সংক্রমণের লক্ষণগুলো পুরোপুরি কমে না যাওয়া পর্যন্ত বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলতে বলা হয়। এসময় বাড়িতে থাকা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং ঘুমানো হতে পারে প্রাকৃতিকভাবে ফ্লু সারিয়ে তোলার সেরা কৌশল।
আপনি যখন সুস্থ হয়ে উঠছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীর খুবই ভঙ্গুর ও নাজুক থাকে। এমন অবস্থায় যদি আপনি বাইরে চলে যান বা আগের মতোই প্রতিদিনের কাজে নিয়োজিত হন, তবে সেটি কল্যাণ বয়ে আনবে না। কারণ এতে অসুস্থতা ফের বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আপনি অনেক বেশি দুর্বল অনুভব করবেন। ফলে আপনার পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও বেশি সময় লাগবে।
নিজেকে ভালো করে হাইড্রেট করুন
সর্দি-কাশির সমস্যা দ্রুত সারাতে চাইলে নিজেকে হাইড্রেট রাখা জরুরি। কারণ এসময় শরীরে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা সৃষ্টি হলে তা আরও বেশি জটিলতা তৈরি করতে পারে। দ্রুত সুস্থ হওয়ার অন্যতম উপায় হলো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত জল ও উপকারী পানীয় পান করা। প্রতিদিন অন্তত দুই-তিন লিটার জল পান করুন। ডাবের জল, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ফলের রস ইত্যাদি খেতে পারেন।
ওষুধের ব্যবহার
সাধারণ সর্দি-কাশি হলে অনেকে নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে নেন অথবা এমন কারও পরামর্শে ওষুধ খান যিনি কোনো চিকিৎসক নন। এই ভুল একেবারেই করা যাবে না। কারণ ব্যক্তিভেদে ওষুধের ধরন একেবারেই আলাদা হতে পারে। তাই যে ওষুধই খান না কেন, তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখুন
ফ্লু হলে সর্দি-কাশিতে নাক বন্ধ হতে পারে, শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। এধরনের সমস্যা এড়াতে আপনার কক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। যদি প্রয়োজন হয় তবে গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা অনেকটা কমবে। চিকিৎসকেরা অনেক সময় পরামর্শ দেন উঁচু বালিশে আধশোয়া হয়ে ঘুমানোর। এতেও এই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যায়।
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…
এই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি পান করার বিকল্প নেই। এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। এছাড়া মিষ্টি স্বাদের ডাবের পানি…
পাইলস খুব পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য বয়সীদের…
আইস বাথ বা বরফ পানি দিয়ে গোসল করেন অনেকেই। তীব্র গরমে অনেকেই ক্রায়োথেরাপিতে ডুব দিচ্ছেন। বরফ বা কনকনে ঠান্ডা পানিতে…
তীব্র তাপপ্রবাহ বা গরমের অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে সূর্যের আলো ও তাপ এড়িয়ে চলার…
ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি নানাবিধ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে বিভিন্ন প্রকার বেসরকারি স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে। আর…