জীবন হোক আনন্দ ও হাসিতে ভরপুর, জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

Written by News Desk

Published on:

কখনো জীবন বিরক্তিকর আবার কখনো আনন্দপূর্ণ। আপনার জীবনের চলার পথটি যেমনই হোক না কেন, নিজের মাঝে সবসময় ‘হাসি’ কে ধরে রাখতে হবে।

আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ তো থাকবেই। তার মাঝেও নিজেকে হাস্যোজ্জ্বল রাখার চেষ্টা অব্যাহত না রাখলে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে হবে নিজেকেই। যতটা সহজে সবসময় হাসিখুশি থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, বাস্তবে হাসিখুশি থাকা অতোটাও সহজ নয়। তবে খুব বেশি কঠিন কিছুও নয়। কিছু সহজ কাজের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত রাখতে পারলেই হাসিখুশি থাকা সম্ভব হবে।

পুরনো বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা
ছেলেবেলার পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হলে স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো হয়ে যায়। পেছনে ফেলে আসা অনেক স্মৃতি মনে পড়ে, যা মনকে মুহূর্তেই ভালো করে দেয়। একসাথে গল্প করা, কথা বলা, স্মৃতিচারন করা শুধু যে মনকে প্রফুল্ল রাখে তা নয়। সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কও ভালোভাবে গড়ে ওঠে।

পছন্দের সিনেমা কিংবা টিভি সিরিজ দেখা
নতুন কোন সিনেমা বা টিভি সিরিজ নয়, পুরনো ও পছন্দের টিভি সিরিজ দেখতে হবে। বহুদিন আগের প্রিয় অনুষ্ঠানটি দেখার ফলে খুব সাধারণভাবেই ভালো লাগা কাজ করে। পরিচিত সিনেমাটির গানগুলোও পরিচিত হয়। কোন দৃশ্যের পর কোন দৃশ্য আসবে সেটাও জানা থাকে। এমনকি পছন্দের সিরিজ পুনরায় দেখার মাঝেও অন্যরকম আনন্দ কাজ করে।

শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো
শিশুদের বলা হয় ভালো থাকার জন্য প্রকৃতির সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও অন্যতম একটি কারণ। ছোট শিশুদের সঙ্গে খেলা করা, তাদের সাথে হাসা, তাদের মুখের আধো আধো কথা- আপনাকে হাসতে বাধ্য করবে। এমনকি মনও ভালো করে দিবে নিমেষেই।

পছন্দের গান শোনা
চারপাশের কোন কিছুই পছন্দের গানের মতো মনের উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। হাসিখুশি থাকার জন্য প্রিয় প্লে লিস্টটাই যথেষ্ট। তবে হাসিখুশি থাকার জন্য প্রিয় প্লে লিস্টে যোগ করে নিতে পারেন ছোটবেলার মজাদার কোন গান।

প্রিয় খাবার রাঁধা
প্রিয় খাবারটি বাইরে তো খাওয়া হচ্ছেই। এবার প্রিয় খাবারটি বাসাতেই রেঁধে নিন। হাজারো রেসিপি ও ভিডিও রয়েছে ইন্টারনেটে। পছন্দসই রেসিপিতে পছন্দের খাবারটি আয়োজন করে নিজ হাতে রান্নার পর যে মানসিক প্রশান্তিটি কাজ করবে, সেটা রেস্টুরেন্টে বসে পাওয়া সম্ভব হয়।

Related News