ক্যান্সার দেখা দিতে পারে যে খাবারগুলো থেকে, জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

অনাকাঙ্ক্ষিত এই রোগটি দেখা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন কোন পূর্বাভাস পাওয়া যায় না, তেমনিভাবে এই রোগ নির্মূলের কোন চিকিৎসাও হয় না। ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতাই সর্বাপেক্ষা উত্তম হাতিয়ার।

কিছু ক্যান্সার জেনেটিক্যাল কারণে দেখা দেয়। এমনকি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলেও দেখা দেয় ক্যান্সার। তবে ক্যান্সারের পেছনে খাদ্যাভাসের ভূমিকাও অনেকখানি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস যেমন ক্যান্সারকে দূরে রাখতে পারে, ঠিক একইভাবে ক্ষতিকর খাবার জীবনে এনে দিতে পারে ক্যান্সারের কালো ছায়া।
নিজেকে ও নিজের পরিবারকে ক্যান্সারের হাত থেকে দূরে রাখতে জেনে রাখুন কোন খাবারগুলো গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রসেসড খাবার
প্রতিদিন আমাদের প্রত্যেককের সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় বিভিন্ন ধরণের প্রসেসড খাবার। চিপস, ক্যান্ডি, সোডা, ফ্রোজেন খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এর মতো আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকিও।

প্রসেসড মাংস
এখনকার বেশিরভাগ শিশুরাই সসেজ, বেকন, মিটবল প্রভৃতি প্রসেসড মাংসের খাবার খেতে ভালোবাসে। দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে এই সকল খাবারে সঙ্গে ক্যান্সারের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রসেসড এই মাংস থেকে বিন্দুমাত্র পুষ্টি উপকারিতা পাওয়া যায় না। উপরন্তু এতে থাকে বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল, যা এই খাবারগুলোর রঙ বর্ণীল ও আকর্ষণীয় রাখতে সাহায্য করে এবং স্বাদ বৃদ্ধি করে।

রেড মিট
রেড মিট তথা খাসির মাংসের উচ্চমাত্রার প্রোটিন অন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। যার ফলে কোলন ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। এছাড়াও রেড মিট হৃদযন্ত্রের জন্যেও ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান।

প্লাস্টিক কন্টেইনারে থাকা খাবার
খাবার সংরক্ষণের জন্য আমরা প্লাস্টিকের বিভিন্ন আকারের কন্টেইনার ব্যবহার করি। এমনকি এই সকল কন্টেইনারে রেখেই মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করি। এভাবেই প্লাস্টিকে থাকা ক্যান্সার তৈরিকারী উপাদান খুব সহজেই খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। যা হরমোনের সমস্যা তৈরি করার পাশপাশি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে দেয় শরীরে। এ কারণেই প্লাস্টিকের পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল কিংবা কাঁচের পাত্র ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

চিনিযুক্ত পানীয়
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ও সোডা পানের ফলে শুধুমাত্র ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায় না, সঙ্গে ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনাও বৃদ্ধি পায়। মাত্রাতিরিক্ত চিনি আমাদের অন্ত্র ও কিডনির উপর চাপ তৈরি করে। যা পক্ষান্তরে ক্যান্সারের জন্য দায়ি।

পোড়ানো মাংস
বিভিন্ন ধরণের মাছ-মাংস গ্রিল কিংবা স্টেক তৈরি করে খেতে মুখরোচক হলেও, এই সকল খাবার থেকে ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি। আমিষ এই খাবারগুলো পোড়ানোর ফলে এতে হেটেরোসাইক্লিক অ্যামিনস (HCAs) ও পলিসাইক্লিক অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন (PAHs) নামক ক্ষতিকর দুইটি কেমিক্যাল উৎপন্ন হয়। যা সরাসরি ডিএনএর উপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

Related News