শীতকালে শিশুকে সুস্থ-সবল রাখাটা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ এই সময় বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় বেড়ে যায়। তাইতো অন্য সময়ের চাইতে শীতে শিশুর প্রতি নিতে হবে একটু বাড়তি যত্ন।
শীতে শিশুর সুস্থতার জন্য খাবারের তালিকায় রাখতে হবে উপকারী সব খাবার। যেসব খাবার তাদের দূরে রাখবে শীতকালীন সবরকম অসুখ-বিসুখ থেকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এসময় যে সাত খাবার শিশুকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে-
রসুন
শীতে শিশুর খাবারের তালিকায় যোগ করুন রসুন। উপকারী এই ভেষজ অ্যালিসিন সমৃদ্ধ। অ্যালিসিন হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রসুন খেলে শিশুর সর্দি-কাশি ও জ্বর তো দূর হয়ই, সেইসঙ্গে বিভিন্ন অসুস্থতাও দূরে থাকে। শীতের সময়টাতে শিশুর খাবারের তালিকায় রসুন রাখতে চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের স্যুপ ও ডাল রান্নায় রসুনের ব্যবহার করা যেতে পারে।
গাজর
দেখতে সুন্দর এবং খেতেও সুস্বাদু গাজর। বিশেষ করে অনেক শিশুই গাজর খেতে পছন্দ করে। এই সবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান শীতের সময়ে আমাদের রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ষা করে ভাইরাল সংক্রমণ থেকে। এছাড়া গাজর হলো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি শিশুর পাচনতন্ত্র নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
খেজুর
খেজুর ভীষণ উপকারী একটি ফল। শুধু শীতে নয়, সারা বছরই শিশুকে এই ফল খেতে দিন। খেজুরে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম যা বাড়ন্ত বয়সে খুবই জরুরি। এসব উপাদান শীতে শিশুকে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে। শিশু যদি শুধু খেজুর খেতে না চায় তবে স্মুদি, মিল্কশেক, দুধ কিংবা ডেজার্টে মিশিয়েও খেতে দিতে পারেন। এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য শিশুর বিপাকক্ষমতাকে উন্নত করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু শিশুর পছন্দের একটি খাবার। এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম। এসব উপাদান শীতের শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। শীতের সময়ে শিশুর খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু এবং মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি নানা পদ রাখতে পারেন।
সাইট্রাস ফল
শীতের সময়ে সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল বেশি পাওয়া যায়। এসময় কমলা, মাল্টা ইত্যাদি শিশুকে খেতে দিন। এই ফলগুলোতে আছে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। সেইসঙ্গে সুস্থ রাখে শরীরও।
ডিম
শিশুর প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখবেন। কারণ এটি তাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কাজ করে। ডিমে আরো আছে ভিটামিন ও খনিজ। এই দুই উপাদান শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে কাজ করে। তাই শীতে শিশুর খাবারের তালিকায় ডিম যোগ করুন।
সবুজ শাক-সবজি
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তার খাবারের তালিকায় সবুজ শাক-সবজি রাখতে হবে। সবুজ শাক-সবজিতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলেট, ফাইবার এবং লুটেইন। এসব উপাদান শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। সেইসঙ্গে প্রতিরোধ করে কোষ্ঠকাঠিন্য। শীতের মৌসুমে শিশুকে পর্যাপ্ত সবুজ শাক-সবজি খেতে দিন।
মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…
সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…
শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…
শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আপনি যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।…
পেশিতে টান ধরার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কখনো ঘুমের মধ্যে কিংবা কখনো হাঁটতে গিয়ে বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত…