রক্ত দেখলে ভয় পায়না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আর তা যদি নিজের নাক দিয়ে পড়ে তাহলে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু কেন হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ে। চলুন জেনে নেই, হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কিছু কারণ এবং রক্তপাত বন্ধ করতে প্রাথমিকভাবে যা করবেন।
রক্ত পড়ার কিছু কারণ :
সাধারণত বাচ্চাদের নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। তাদের নাক শুকিয়ে গেলে এই অংশ স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। এ সময় তারা নাকে আঙুল দিলে নাকের চামড়া আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তপাত হয়। নাক পরিষ্কার না থাকলে বা ঘন ঘন ইনফেকশন থেকেও নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে পারে।
অনেক সময় অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। আবার বৃদ্ধ বয়সে রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণশীলতা কমে যাওয়ার কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। নাকের হাড় বাঁকা বা নাকের মধ্যে বাইরের বস্তু ঢুকে গেলেও রক্ত ঝরতে পারে।
এই রক্ত নাকের সামনের দিক দিয়ে হতে পারে বা নাকের পেছন দিক দিয়ে গড়িয়ে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। এক নাক বা উভয় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
বড়দের রক্ত ঝরা-অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এর বড় কারণ। হার্টের অসুখের জন্য রক্ত পাতলা করার ওষুধ যেমন এসপিরিন, ওয়ারফেরিন, ক্লোপিডোগ্রেল থেকেও এপিসট্যাক্সিস বা নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
যা করবেন :
# সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণে তেমন কোনো জটিলতা হয় না। তবে শিশুদের নখ ছোট রাখতে হবে এবং নাকে হাত দেয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে নাক যাতে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়, তার জন্য নাকের সামনের দিকে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
# নাক খোঁচাবেন না, নাকের ভেতর কোনো কিছু ঢোকাবেন না। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। ধূমপান করবেন না।
# নাক দিয়ে রক্ত পড়লে নাক দুপাশ থেকে চেপে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে এবং তাকে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে বলতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে কোনো নাকের ড্রপ চার-পাঁচ ফোঁটা করে দিয়ে শুইয়ে রাখতে হবে। এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
# বরফের টুকরা কাপড়ে জড়িয়ে নাক ও কপালে ঠাণ্ডা সেঁক দিন। নাকের সামনের নরম অংশ আঙুল দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরুন এবং এভাবে ৫ মিনিট রাখুন।
# ঠাণ্ডা, সর্দি-কাঁশিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। রক্তক্ষরণ হলে আতঙ্কিত না হয়ে সামনের দিকে মাথা ঝুঁকে থাকুন। এরপরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে অতি শিগগিরই নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যেকোন ব্যক্তিরই নাক দিয়ে রক্তপ্রবাহ হতে পারে তবে বিশেষ করে ২ থেকে ১০ বছরের বাচ্চা এবং ৫০ থেকে ৮০ বছরের প্রাপ্ত বয়স্ক ও বৃদ্ধদের মধ্যে নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…
এই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি পান করার বিকল্প নেই। এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। এছাড়া মিষ্টি স্বাদের ডাবের পানি…
পাইলস খুব পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য বয়সীদের…
আইস বাথ বা বরফ পানি দিয়ে গোসল করেন অনেকেই। তীব্র গরমে অনেকেই ক্রায়োথেরাপিতে ডুব দিচ্ছেন। বরফ বা কনকনে ঠান্ডা পানিতে…
তীব্র তাপপ্রবাহ বা গরমের অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে সূর্যের আলো ও তাপ এড়িয়ে চলার…
ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি নানাবিধ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে বিভিন্ন প্রকার বেসরকারি স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে। আর…