সতর্ক বার্তা : ফ্যাটি লিভার থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস

Written by News Desk

Published on:

লিভার বা যকৃৎ হল আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের শরীরের অনেক জটিল কাজ করে থাকে। খাদ্য হজম থেকে শুরু করে, শরীর থেকে নানান বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দিতে পারে এই অঙ্গটি। লিভার দেহ থেকে কিছু পরিমাণ ফ্যাট সংরক্ষণ করে রাখে বিপদের সময় কাজে লাগানোর জন্য। তবে সমস্যা হয় যখন এই ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে লিভারের উপর প্রভাব পড়তে থাকে। আর তখনই এটাকে বলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ মূলত দুই ধরণের। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

মদ্যপানের কারণে লিভারে ফ্যাট জমলে বলা হয় অ্যালকোহোলিক ফ্যাটিলিভার ডিজিজ। অপরদিকে ফ্যাটি লিভারের নেপথ্যে যখন মদ্যপান থাকে না, তখন বলা হয় নন অ্যালকোহোলিক ফ্যটি লিভার ডিজিজ।

ফ্যাটি লিভার থেকে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, লিভার সিরোসিসের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ:

বহু ক্ষেত্রে এই রোগের তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে-

> সারাদিনই আপনাকে ক্লান্তি গ্রাস করে রাখে? তবে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলেও হতে পারে।

> তলপেটে চিনচিনে বা খুব ব্যথা হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে কোনও সমস্যা রয়েছে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

> আপনার কাজ করতে একদম ভালো লাগছে না। শুধু শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে হতে পারে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

কী ভাবে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের সমস্যা মেটাবেন?

নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কোনওভাবেই ক্রনিক রোগ নয়। একটু আধটু চেষ্টা করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি-

> তেল-ঝাল-মশলা ছাড়ুন। এই ধরনের খাবার খাওয়া চলবে না।
> ফ্যাট থাকা কোনও খাবার আপাতত নয়।
> মিষ্টি থেকে দূরে থাকুন। তবেই সমস্যা কমবে।
> বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার খান। খেতে হবে ওটস, ঢেঁকি ছাঁটা চাল ইত্যাদি।
> ওজন কমান।
> আপনাকে অবশ্যই মেদ কমাতে হবে।
> রোজ করুন ব্যায়াম। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে।
> দুশ্চিন্তা দূর করুন। প্রয়োজনে করতে হবে প্রাণায়াম।rs

Related News