মাথায় ছোটখাট আঘাত পেলেও অনেকে তা নিয়ে ভাবেন না। কারও তেমন ধারণা নেই যে, সামান্য মাথার আঘাতই পরবর্তীতে মস্তিষ্কে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই! মাথায় আঘাত লাগার পরই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভেতরে আঘাত লাগলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই মাথার আঘাতকে কখনো অবহেলা করবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত লাগার কারণে দেখা দিতে পারে নানা ধরনে সমস্যা। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখে ঘোলাটে দেখা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনকি ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তি হাঁটার সময়ও ভারসাম্য হারাতে পারেন। আবার হাত-পা অবশের মতো সমস্যাও হতে পারে। হতে পারে স্মৃতিভ্রম।
এজন্য এসব বিষয়ের প্রতি সবাইকে সতর্ক হতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জেনে নিন মাথায় আঘাত লাগলে দেখা দিতে পারে যে ৫ ধরনের সমস্যা-
>> মাথায় আঘাত লাগলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হেমারেজের সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথায় হয় রক্তপাত। এই রক্তপাতের ঘটনাকেই বলে হেমারেজ। ব্রেনের আশপাশে হেমারেজ হওয়ার ঘটনাকে বলে সাবঅ্যারকনয়েড হেমারেজ। আর ব্রেনের ভেতরে রক্তপাতের ঘটনাকে বলে ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমারেজ। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
>> কারও মাথায় আঘাত লাগলেই বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই ক্ষত ও চিহ্ন খুঁজতে থাকেন। এক্ষেত্রে মাথায় খুব জোরে আঘাত লাগার কারণে মানুষ এই সমস্যায় পড়েন।
এক্ষেত্রে হাত, পা নাড়ানো সম্ভব না হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কথা বলতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
>> মাথার হাড়ে কোনো গুরুতর আঘাত দেখা দিলে হতে পারে ফ্র্যাকচার। আবার হাড়েও দেখা দিতে পারে ফাটল। এক্ষেত্রে আঘাত লাগার পরই দেখা দিতে পারে সমস্যা। মাথা ফ্র্যাকচার হলে আপনাকে অবশ্যই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
>> মাথার আঘাতে মস্তিষ্কে হতে পারে হেমাটোমা। এক্ষেত্রে আঘাতের কারণে মাথায় চাপ বাড়ে। তার থেকেই মাথায় দেখা দেয় হেমাটোমা। এক্ষেত্রে মাথায় রক্ত জমে যায়। আর এ কারণেই দেখা দেয় নানা উপসর্গ।
>> ‘ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরি’র সমস্যা নির্ণয় করা খুব কঠিন। এক্ষেত্রে আঘাতের অভিঘাত পৌঁছে যায় মস্তিষ্কের কোষে। মস্তিষ্কের কোষে দেখা দেয় সমস্যা। ফলে মানুষ দ্রুত নিজের ক্ষমতা হারাতে থাকেন।
ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরি হলে অনেক সময় মস্তিষ্কে দেখা দেয় বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথার কোষ ফুলে ওঠে। তাই এ ধরনের আঘাতের দ্রুত চিকিৎসা দরকার।
মাথার যে কোনো আঘাত লাগলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে রোগ লক্ষণ দেখার পর চিকিৎসক প্রয়োজনমতো এক্স-রে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান করতে পারেন।rs
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…
এই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি পান করার বিকল্প নেই। এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। এছাড়া মিষ্টি স্বাদের ডাবের পানি…
পাইলস খুব পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য বয়সীদের…
আইস বাথ বা বরফ পানি দিয়ে গোসল করেন অনেকেই। তীব্র গরমে অনেকেই ক্রায়োথেরাপিতে ডুব দিচ্ছেন। বরফ বা কনকনে ঠান্ডা পানিতে…
তীব্র তাপপ্রবাহ বা গরমের অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে সূর্যের আলো ও তাপ এড়িয়ে চলার…