দশ নিয়ম মেনে ওজন কমান ১০ কেজি দেখেনিন

বাড়তি ওজন মানেই বাড়তি সমস্যা। এর ফলে বিভিন্ন কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে। এমনকি আয়ুও কমে যেতে পারে। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, গ্রামের চাইতে শহরের মানুষদের বাড়তি ওজনের সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভাস।
অতিরিক্ত তেল-মশলা ও ভাজাপোড়া খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া অনেকেই আবার ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চা করতে পারেন না। যা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দেখা যায়, ওজন কমাতে অনেকেই নানা রকম ডায়েট অনুসরণ করেন। যা অনেক সময় ফলপ্রসূ হয় না। যারা এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তারা চাইলে দশটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন। তাতে অন্তত দশ কেজি ওজন কমবে।

১. কেউ কেউ আছেন সকালটা শুরু করেন কফি দিয়ে। কফিতে উচ্চ ক্যালরি ও চিনি আছে। দিনে কয়েকবার কফি না খেলে সপ্তাহে ১৬০০ ক্যালরির বেশি ওজন কমানো সম্ভব।

২. পপকর্ন বা চিপস খেলে ওজন বাড়ে না, এমন ভুল ধারণা আছে কারো কারো। পপকর্ন ও চিপসে থাকা অতিরিক্ত লবণ, ভাজার সময় ব্যবহার করা তেলে ওজন বাড়ায়। বাচ্চারা যদি এগুলো খেতেও চায় দিবেন না। স্থূলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. সকালের নাস্তা হিসেবে কারো কারো পছন্দ দুধ-কলা-চিড়া। পেট ঠান্ডা রাখলেও এসব খাবারে প্রোটিন কম। ওজন কমাতে গেলে প্রত্যেক খাবারের সঙ্গে অবশ্যই কমবেশি প্রোটিন রাখতে হবে।

৪. অনেকে ব্যায়াম শুরু করেন কিন্তু অল্প দিনে ওজন না কমলে উৎসাহ হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফিরে যান আগের অনিয়মের জীবনে
প্রতিদিন ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীর বিগড়ে যায়। প্রতিদিন ৭/৮ ঘণ্টা না ঘুমালে ওজন কমানো খুব কঠিন। পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমবে না কিছুতেই। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে খিদেও পায় বেশি। আর বেশি খেয়ে ফেললেই যে কয়দিন নিয়ম মেনে খেয়েছেন সব চলে যাবে জলে।

৫. যখন তখন এটা সেটা খাওয়ার প্রবণতা কমান। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার আর রাতের খাবারে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে, তা হলে খুব খিদে পাবে না অন্য সময়গুলোতে।

৬. চলছে মুধু মাস। এখন অনেক মৌসুমী ফল পাওয়া যাবে। তাই ফলের রস না খেয়ে আস্ত ফলের খাবেন। এতে গুণ অনেক বেশি। ফল রস করলেই তাতে শুধু ফ্রুকটোজ থাকবে। আর তাতেই ওজন বাড়বে সহজেই।

৭. এনার্জি ড্রিঙ্ক বা প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাবেন না। এগুলো চিনিতে পরিপূর্ণ। অজান্তেই শরীরে জমা হয় ফ্যাট।

৮. ওজন কমাতে চাইলে পাস্তা বা পিৎজার লোভ সামলান। এতে ময়দা, চিনি, লবণ সব কিছুই বেশি বেশি থাকে। যা ওজন কমায় না উল্টো বাড়ায়।

৯. জল না খেলে শরীরের হজম ক্ষমতা ঠিক মতো কাজ করে না। আর খাবার হজম না হলে হাজার শরীরচর্চা করেও কিন্তু ক্যালরি ঝরবে না।

১০. কোন খাবারে পেটে গ্যাস হয়, কোন খাবারে হজমে গোলমাল বাধে—সেগুলো না খেয়ে আপনার যেসব খাবার খেলে শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না, সেগুলো খাবেন। সহজ করে বললে, অন্যের পেটে যা সহ্য হয়, সেটা আপনার নাও হতে পারে।rs

News Desk

Recent Posts

অতিরিক্ত ঘাম কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরম আবহাওয়ায় ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে শীতেও অতিরিক্ত ঘাম কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবেও…

12 hours ago

নখ দেখেই বুঝে নিন শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কি না

শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে কি না, তার ইঙ্গিত আগে থেকেই দেয় শরীর। তবে অনেকেই তা টের পান না, আবার…

14 hours ago

কাচের বোতলে কেন পানি খাবেন?

পানির অপর নাম জীবন। দৈনিক পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। যা শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।…

14 hours ago

সকালে নাস্তা না করলে যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে

সকালের নাস্তা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরই সারাদিন শরীরের শক্তি নির্ভর করে। সকালে পুষ্টিকর খাবারে পেট ভরালে সারাদিন অ্যানার্জি…

14 hours ago

কুমড়া থেকে ছোলা, ওজন কমাতে আরও যা খাবেন

ওজন কমাতে চাইলে পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি শরীরচর্চাও জরুরি। তবে ওজন কমাতে খাবার ৭০ শতাংশ আর…

14 hours ago

তীব্র গরমেও শরীর বরফ ঠান্ডা রাখবে যে পানীয়

গরমে হাঁসফাঁস করছে সবাই। এমন তাপপ্রবাহের মধ্যে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অনেকেই নানা ধরনের পানীয়ে চুমুক দিচ্ছে। তবে কোমল পানীয় থেকে…

15 hours ago