অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ৫টি লক্ষণ এড়িয়ে গেলেই হতেপারে বিপদ

Written by News Desk

Published on:

অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটির কথা সবারই জানা। এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা হয়, তাও অনেকেই জানেন। তবে এর বাইরে বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই রোগটি নিয়ে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের বিষয়ে অনেক তথ্যই জানা উচিত। কারণ এই রোগ সম্পর্কে জানা থাকলে দ্রুত তা শনাক্ত হয় ও বিপদের ঝুঁকি কাটে।

অ্যাপেনডিক্স কী?

প্রত্যেকেরই পেটের নীচের দিকে থাকে অ্যাপেনডিক্স। এটি শরীরের একটি অঙ্গ। অনেকটা থলের মতো এর আকৃতি। তবে অবাক করা বিষয় হলো, এই অঙ্গ শরীরের তেমন কোনো কাজে আসে না। তবে এটি শারীরিক সমস্যা বাড়ায়।

যেমন- অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটি হলো এই অঙ্গের সমস্যা। বেশিরভাগ সময়ই এ রোগের ফলে কেটে বাদ দিতে হয় অঙ্গটি। যদি এক্ষেত্রে ঠিকমতো চিকিৎসা না হয়, তাহলে পেটে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। হতে পারে রক্তপাতও।

কেন হয় অ্যাপেন্ডিসাইটিস?

সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগ কেন হয় তার সঠিক কোনো কারণ নেই। তবে এর পেছনে কিছু জীবাণু থাকতে পারে। পেটে অসহ্য ব্যথার অন্যতম কারণ হলো অ্যাপেন্ডিসাইটিস।

এই রোগ যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যা দেখা যায় বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু করে ৩০ বছর পর্যন্ত।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ কী কী?

অ্যাকিউট অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটিতে আক্রান্ত হলে নাভির কাছ থেকে শুরু হয় ব্যথা। এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ব্যথা তলপেটের নীচের দিকে পৌঁছে যায়। এক্ষেত্রে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন-

>> পেটে ব্যথার সঙ্গে থাকে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
>> জ্বর
>> খেতে ইচ্ছে করে না
>> জটিল অবস্থায় রোগ পৌঁছে গেলে তলপেটের ডানদিক ফুলে ওঠে ইত্যাদি।

পেটে ব্যথাসহ এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক প্রয়োজন মতো তলপেটের আলট্রাসাউন্ড টেস্ট, সিটি বা এমআরআই করতে বলতে পারেন। এর মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া যাবে রোগটি সম্পর্কে।

কী করা যেতে পারে?

বিগত কয়েক বছর আগেও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হতো অঙ্গটি। তবে এখন ল্যাপারোস্কোপির যুগ। এক্ষেত্রে পেট কাটার কোনো প্রয়োজন নেই।

মাত্র কয়েকটি ছোট ফুটো করেই করা যায় অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন। খুব সহজেই এক বা দুদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে যান।

Related News