হতাশা কাটিয়ে উঠুন কিছু কৌশলে দেখেনিন

পরীক্ষায় ভাল ফলাফল না হলে, চাকরি না হওয়ায়, প্রেম ভালোবাসা স্থির না হলে, বিয়ে-সাদী মনের মতো না হলে- এরকম অনেক বিষয় রয়েছে যাতে অনেককেই হতাশ হতে দেখা যায়। আবার কেউ কেউ এগুলো খুব সহজেই কাটিয়েও উঠতে পারেন। কিন্তু সমস্যায় পড়েন তারাই যারা হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেন না।

মনোবিদদের মতে, অতিরিক্ত আশা থাকলে হতাশাও আসবে৷ এটাই জীবনের নিয়ম৷ অস্থির হবেন না৷ হতাশা কাটানো খুব জটিল বিষয় নয়। কয়েকটা যুক্তি, কিছু ভাবনার সঙ্গে খারাপ পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা- এটুকু অভ্যাসে আনলেই হতাশা কাটানো সহজ হয়ে ওঠে। আর খুঁজে দেখুন কেন হতাশ হলেন৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন হতাশা কাটাতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে সহজে মুষড়ে পড়া বা হতাশায় ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘন ঘন ঘটবে না। এবার সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক-

* অন্যায্য আশা করলে হতাশ হতেই হবে৷ নিজের ক্ষমতা, পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা না থাকলে মানুষ দুরাশা করে৷ কাজেই কী ভুল হয়েছে তা খুঁজে নিন৷ এই ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

* ন্যায্য আশা, তবুও হতাশ! তাহলে কি বাস্তবে পরিণত করার চেষ্টায় কোন ত্রুটি ছিল? সেই ত্রুটি চিহ্নিত করে শোধরানোর চেষ্টা করুন।

* আশা ন্যায্য ছিল, চেষ্টাতেও ঘাটতি ছিল না। তবুও সফল হননি, এরকমও হতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে বিকল্প আর কী কী হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা নিন৷ আর একবার চেষ্টা করবেন না অন্য বিকল্প বেছে নিবেন, তা নিয়ে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন।

* আচমকা কোন ঘটনায় হতাশ হয়েছেন, ভেবে দেখুন এ রকম ঘটনা এর পূর্বে ঘটেছে। তা কিন্তু ভুলে গেছেন এ ঘটনাও ভুলবেন৷ একটু আগে আর পরে৷ ভুলতে যখন হবেই, তা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাবেন না।

* ঘটনাটাকে গুরুত্বহীন করতে পারলে ভোলা সহজ৷ গুরুত্বহীন করার অন্যতম রাস্তা প্রায়োরিটি লিস্ট বানানো৷ যার জন্য হতাশ হয়েছেন সেটা হয়তো টপ প্রায়োরিটি ছিল, তার পরও তো কিছু আছে৷ এবার না হয় ভাবুন পরের প্রায়োরিটিকে নিয়ে৷

* মন খারাপ করে বসে না থেকে আড্ডা দিন৷ সিনেমা–থিয়েটার দেখুন৷ ব্যায়াম বা খেলাধুলাও করতে পারেন৷

* ভেবে দেখুন হতাশ হলেন কেন? টাকা, প্রেম, নিরাপত্তা, ক্ষমতা না অন্য কিছু? এক্ষেত্রে কোনটা প্রাধান্য দিবেন প্রেমের বদলে নতুন প্রেম না পুরোনোটা? সমাজে নিজের অবস্থান বাঁচাতে নতুন চাকরি না নত হয়ে আগেরটা বাঁচানো? আবেগে চলবেন না বুদ্ধিতে? নাকি ইগোর কাছে নতি স্বীকার করবেন? পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিলে হতাশা আর থাকবে না।

* সমস্যা সমাধানে যুক্তি ও আবেগের দোটানায় পড়লে কয়েকজন বাস্তববাদী লোকের সঙ্গে আলোচনা করুন৷ দেখুন এরকম পরিস্থিতিতে তারা কী করতেন৷ আপনিও সেই পথে চলবেন কি না ভেবে দেখুন৷

তবে চির-হতাশদের ক্ষেত্রে এই সমাধানের পথ ভিন্ন। চির-হতাশা মূলত মানসিক অসুখ। ঠিক সময়ে ঠিকঠাক চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং না হলে এই অসুখ বাড়তে পারে। এই পর্যায়ে রোগীকে সাহস জোগানোও খুব জরুরি৷ কাউন্সেলরের তত্ত্বাবধানে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপিও করাতে পারেন৷

News Desk

Recent Posts

নারীদের শরীরে ডায়াবেটিসের যে ৬ লক্ষণ দেখা দেয়

ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ, যা সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসের কোনো প্রতিকার নেই। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ…

7 hours ago

মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এর অর্থ হলো, আপনি পাইওরিয়া বা দাঁত-মাড়ি সংক্রমণে ভুগছেন। তবে জেনে…

8 hours ago

নখের ইনফেকশন সারাবেন যেভাবে

নখের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তার মধ্যে নখের ইনফেকশন অন্যতম। এক্ষেত্রে নখ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। নখ কালো হতে পারে…

11 hours ago

দুপুরের ঘুম শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। যাকে বলা হয় ভাতঘুম। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান।…

11 hours ago

বাবা-মায়ের যে ভুলে সন্তান রাগী ও জেদি হয়ে ওঠে

সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে কখনো কখনো কঠোর হতে হয় আবার কখনো ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন…

12 hours ago

হঠাৎ মাথাব্যথায় হতে পারে স্ট্রোক, জানুন লক্ষণ

স্ট্রোক শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং তরুণদের মধ্যেও হতে পারে যখন তখন। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোক আক্রান্তকে যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে…

13 hours ago