রান্না করতে ভালোলাগে যাদের, লকডাউনের পর্বটা তাদের মন্দ কাটছে না। পরিবারের সবার জন্য রান্না করার কাজটা তারা আনন্দের সঙ্গেই করছেন। কিন্তু রান্নায় যারা ততটা পারদর্শী নন, আবার বাজারটাও গুছিয়ে করা হয়নি তারা একটু মুশকিলেই পড়েছেন। প্রতিদিনই সেই ডিম-আলু-ডাল-ভাত রাঁধতে রাঁধতে একঘেয়ে লাগাটাই স্বাভাবিক। এমন মুশকিলে যদি আপনিও পড়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই সমাধান। জেনে নিন রান্নায় বৈচিত্র আনার উপায়-
ভাত: ভাত খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি হজম করা সহজ। খাওয়ার পরে বাড়তি ভাত থেকে গেলে তা দিয়ে নানা মজাদার পদ রেঁধে নিতে পারবেন। যেমন ধরুন, একটা ডিম বা খানিকটা মুরগির মাংস অথবা চিংড়ি সাদা তেলে রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ বা কিছু সবজিসহ ভেজে নিন, হাতের কাছে কোনো সস থাকলে মেশান, লবণ-চিনি দিন। শেষে ভাত দিয়ে ভেজে নিলেই চমৎকার ফ্রায়েড রাইস তৈরি হয়ে যাবে। কাটবে রান্নার একঘেঁয়ে স্বাদটাও। এদিকে খুব সহজেই আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন সুস্বাদু খাবার।
ডাল: এই সময়ে প্রোটিনের সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস হলো ডাল। সব রকম ডাল কিনে রাখা উচিত। মটর ডাল বেটে নিন অল্প আদা, কাঁচা মরিচ আর জিরা দিয়ে। তার পর সামান্য তেল, কালোজিরা, লবণ-হলুদ দিয়ে ফেটিয়ে নিয়ে ভেজে নিন তেলে। দারুণ সুস্বাদু বড়া তৈরি হবে। তা দিয়ে হালকা ঝোলও রান্না করে নিতে পারেন। টিফিন বক্সে এই মিশ্রণ ভরে মাইক্রোওয়েভে দিন। মিনিট সাতেক চড়া আঁচে রান্না করে নিলেই সেট করে যাবে। তার পর বের করে কেটে ভেজে নিন। আর ডালের ফোড়ন নিয়ে তো অনেকরকম এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। নানা রকম খিচুড়ি রাঁধুন, সবজি মেশান- দারুণ লাগবে খেতে।
ডিম: ডিমের রান্না মানেই কিন্তু সেদ্ধ, ভাজা, পোচ, না। আফ্রিকার সর্বত্র ‘শাকশুকা’ বলে একটি পদ দারুণ জনপ্রিয়। সেটি মূলত টমেটো, আদা, রসুন পেঁয়াজের গ্রেভি। ঝোল ফুটতে আরম্ভ করলে তার উপর সাবধানে একটি একটি করে ডিম ভেঙে দিয়ে দিন। ঝোল আর পোচ একসঙ্গে রেডি হয়ে যাবে। তৈরি করতে পারেন ভাপা ডিম, ডিমের পাতুরি। এগুলোও বেশি সুস্বাদু। রান্নার একঘেয়ে ভাব কেটে যাবে দ্রুত।