শীতের সকালে ঘুম ভাঙার পরেই বুঝলেন যে, আপনার গলায় ব্যথা৷ ঢোক গেলার সময় কষ্ট হচ্ছে৷ অথবা, মনে হচ্ছে, গলায় যেন কিছু একটা বিঁধে রয়েছে৷ অথচ, ঘুমাতে যাওয়ার আগেও এই ধরনের কোনও সমস্যা ছিল না আপনার৷ তাহলে কোন কারণে এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলেন আপনি?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কখনও ঠাণ্ডা, কখনও আবার গরম৷ শীতের সময় আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার কারণেই জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত হয়৷ যে কারণে গলার সংক্রমণ বাড়ছে৷ যার পরিণতি গলায় ব্যথা৷ শীতের সময় এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়ছে৷ একই সঙ্গে অবশ্য ওই সব চিকিৎসক বলছেন যে, সতর্ক থাকলেই শীতের সময় সুস্থ থাকাটা অসম্ভব কোনও বিষয় নয়৷
কেননা, শীতের মৌসুমে সাধারণত সুস্থ থাকা যায়৷ যদিও শিশু, বয়স্ক এবং অ্যাজমাসহ অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে আক্রান্তদের জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি সতর্ক থাকা জারুরি৷ তবে শীতের সময় সাবধান না থাকলে যে কোনও বয়সি-ই যে সর্দি-কাশির সমস্যায় আক্রান্ত হবেন না, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই৷
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার সঙ্গে বিছানা এবং চাদর-লেপ-কম্বল অথবা অন্য কোনও শীতবস্ত্রের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জীবাণুরাই আচমকা এই গলায় ব্যথার জন্য দায়ী বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷ ইচ মাইট নামে ওই জীবাণু স্বরযন্ত্রে প্রবেশ করার কারণে আচমকা এভাবে গলায় ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়৷ ওই সব চিকিৎসক বলছেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে জীবাণুরা সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ এর সঙ্গে ঘরের ধুলাকণার জন্যও সমস্যা বেড়ে যায়৷ বিছানার মধ্যে বাসা বাঁধে ইচ মাইট৷
যে কারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকাটাও গলা ব্যথার কারণ৷ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে দরজা, জানলা বন্ধ রেখে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিক কারণে ঘরে হাওয়া চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ নিয়মিত রোদ না পাওয়ায় চাদর-লেপ-কম্বল অথবা অন্য কোনও শীতবস্ত্রের ভিতর লুকিয়ে থাকা ইচ মাইট স্বরযন্ত্রে প্রবেশ করে রোগের বিস্তার ঘটায়৷ এই ধরনের সমস্যার জন্য বায়ুদূষণের কারণও দায়ী রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক৷
তবে শুধু আবার আচমকা গলার ব্যথাও নয়৷ এই একই কারণে হতে পারে খুশখুশে কাশি৷ ওই কাশির জন্য আবার গলা বসেও যেতে পারে৷ এমনকি, জ্বর জ্বর ভাব অথবা জ্বর কিংবা সর্দি লাগার উপসর্গ হিসেবে নাক দিয়ে জলও বের হতে পারে৷ তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ঘরে যাতে নিয়মিত আলো-বাতাস পৌঁছায়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে৷ কভার পরিয়ে চাদর-লেপ-কম্বল অথবা অন্য কোনও শীতবস্ত্রের ব্যবহার করতে হবে৷ খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে৷ বাইরের ধুলার থেকে ঘরের ধুলা অনেক বেশি ক্ষতিকর৷ যে কারণে বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড় এবং লেপ-কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র সপ্তাহে অন্তত একদিন ফুটন্ত জলে কাচতে হবে৷
শোওয়ার ঘরে কার্পেট রাখা উচিত নয়৷ পোষ্য হিসেবে কুকুর, বিড়াল, পাখি এবং কোনও বনসাই শোওয়ার ঘরে রাখা উচিত নয়৷ একই রকমভাবে তাপমাত্রার তারতম্যও সামলাতে হবে, বাইরের খুব গরম থেকে ঘরের বা অফিসের ভিতরে এয়ার কন্ডিশনারে ঘনঘন যাতায়াত বন্ধ করতে হবে৷ খাওয়ার অব্যবহিত পরেই শুতে যাওয়া উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…
এই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি পান করার বিকল্প নেই। এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। এছাড়া মিষ্টি স্বাদের ডাবের পানি…
পাইলস খুব পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী মানুষেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য বয়সীদের…
আইস বাথ বা বরফ পানি দিয়ে গোসল করেন অনেকেই। তীব্র গরমে অনেকেই ক্রায়োথেরাপিতে ডুব দিচ্ছেন। বরফ বা কনকনে ঠান্ডা পানিতে…
তীব্র তাপপ্রবাহ বা গরমের অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে সূর্যের আলো ও তাপ এড়িয়ে চলার…
ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি নানাবিধ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে বিভিন্ন প্রকার বেসরকারি স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে। আর…