হৃদরোগ এমন একটি রোগ যা আমরা কখনও আগে টের পাই না। হার্ট অ্যাটাক হলেই বুঝতে পারি আমরা হৃদরোগে আক্রান্ত। কিন্তু এমন কিছু শারীরিক চিহ্ন/উপসর্গ আছে যা দেখে বুঝা যাবে হৃদরোগের আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন আপনি।
১. কানের লতিতে ভাঁজ
কানের লতি নিয়ে হৃদরোগের আগমনী বার্তাটি প্রথম আবিষ্কার করেন আমেরিকান ডাক্তার স্যান্ডার্স ফ্রাঙ্ক। তারপর থেকে এই চিহ্নকে ফ্রাঙ্ক সাইন বলা হয়। সাধারণত কানের লতি সমতল হয়ে থাকে যদি কানের লতিতে ভাঁজ পড়ে তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন বুঝা যাবে। যখনই হার্টের ধমনীতে রক্ত সংবহন বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই কানের লতিতে ভাঁজ পড়ে থাকে। অনেক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ মনে করেন কানের লতিতে ভাঁজ বার্ধক্যের লক্ষণ। তবে গবেষকরা গতবছর সর্বাধুনিক সিটি স্ক্যান মেথড ব্যবহার করে কানের লতিতে ভাঁজ হৃদরোগের পূর্বাভাস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
২. শরীরে হলুদ অতিরিক্ত অংশ
হৃদরোগের আরেকটি চিহ্ন হলো শরীরের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত অংশ। এসব অতিরিক্ত অংশ দেখতে আচিলের মতো। সাধারণত কনুই, হাটু, নিতম্ব ও চোখের পাতায় হয়ে থাকে। এসব দেখতে ক্ষতিকর না হলেও এটা বিরাট সমস্যার একটি চিহ্ন।
৩. নকের আকার পরিবর্তন
নখের গঠনে তারতম্য বা পরিবর্তন দেখে বোঝা আপনার হার্টের অবস্থা কি। যখন দেখবেন হাতের নখের আকার পরিবর্তন হয়েছে বা অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়েছে তাহলে বুঝতে হবে হার্টের অবস্থা ভালো নয়। নখ যখন চামড়ার থেকে বেশি বেড়ে গিয়ে বেঁকে যায় তখন তাকে ক্লাবিং বলে। আঙ্গুলের টিস্যু গুলো মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণত এই রোগ গুলো দেখা দেয়। আর এরকম হওয়ার কারণ হলো হার্ট থেকে পর্যাপ্ত রক্ত আঙুলের নখে পৌঁছতে পারছে না। দেহে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল থাকলেই সাধারণত নখের রং গোলাপি হয়। নখের নিচে অনেক সময় সরু এক চিলতে রক্তপাত দেখা যায়। একে বলা হয় স্প্লিনটার হেমরেজ। এটিও হৃদরোগের উপসর্গ।
৪. আইরিসের চারপাশে ধুষর বলয়
চোখের আইরিশের বাইরের প্রান্তে ধূসর, সাদা বা হলুদ অর্ধচক্র বা বৃত্তাকার বলয় থাকলে বুঝতে হবে আপনার রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। যা হৃদরোগের চিহ্ন। আর এটাকে বলা হয় আর্কাস সিনিলিস। এটি আপনার দৃষ্টি প্রভাবিত করবে না। কিন্তু হৃদরোগের উপসর্গকে চিহ্নিত করে।
সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী প্রায় ৬০ শতাংশ লোকের চোখে এই বৃত্তাকার বলয় দেখা যায়। ৮০ বছর পর, প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষের চোখে এটা দেখা যায়। তবে বিশেষ করে যদি আপনার ৪০ বছর বয়সের আগে এই রোগ নির্ণয় করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি হার্টের রোগের ঝুঁকিতে আছেন।
৫. দাঁতের ক্ষয়
আপনার দাঁতের অবস্থা বলে দিবে আপানর হার্টের কি অবস্থা। যদি দাঁতের গাম নষ্ট হয়ে দাঁতের ক্ষয় হতে থাকে বা দাঁত পড়ে যায় বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে বুঝতে হবে হার্টের অবস্থা ভালো নয়। মুখের ভিতর ভালো ও খারাপ দু ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর খারাপ ব্যাকটেরিয়ার রক্তে প্রবেশ করে হার্টের ক্ষতি করে থাকে।
গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, দাঁতের অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থা এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ায় রক্তপ্রবাহে ৭০০ বেশি বিভিন্ন জীবাণু প্রবেশ করে। আর এর কারণে কেউ সুস্থ বা ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হলেও তার হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৩৯টি দেশের ১৫ হাজার ৮২৮ জনের ওপর গবেষণাটি চালিয়ে এ কথা জানান। এমনকি দাঁত পড়া মানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১১ শতাংশ।
৬. ঠোঁটের রং নীল
আরেকটি হৃদরোগের উপসর্গ হলো ঠোঁটের রং নীল হয়ে যাওয়া। সাধারণত স্বাভাবিক অবস্থায় ঠোঁটের রং লাল বা গোলাপি হয়ে থাকে। যখনই ঠোঁটের রং নীলচে বা নীলাভ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে হার্টে সমস্যা রয়েছে।
তবে হ্যা অনেক সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা উচ্চতায় উঠলে ঠোঁটের রং নীল হতে পারে। এর কারণ হলো তখন হার্টে স্বাভাবিক অক্সিজেন চলাচল ঠিক থাকেনা।
RS
ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ, যা সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসের কোনো প্রতিকার নেই। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ…
দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এর অর্থ হলো, আপনি পাইওরিয়া বা দাঁত-মাড়ি সংক্রমণে ভুগছেন। তবে জেনে…
নখের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তার মধ্যে নখের ইনফেকশন অন্যতম। এক্ষেত্রে নখ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। নখ কালো হতে পারে…
দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। যাকে বলা হয় ভাতঘুম। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান।…
সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে কখনো কখনো কঠোর হতে হয় আবার কখনো ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন…
স্ট্রোক শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং তরুণদের মধ্যেও হতে পারে যখন তখন। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোক আক্রান্তকে যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে…