অবাঞ্ছিত লোম: তাহলে জেনেনিন এর কারণ ও প্রতিকার

Written by News Desk

Published on:

অবাঞ্ছিত লোম কাকে বলে? 

মেয়েদের শরীরের যেসব স্থানে সাধারণত লোম থাকার কথা নয়, সেসব স্থানে পুরু, কালো, শক্ত লোম হলে যেমন: ঠোঁটের ওপর, চিবুক, থুতনি, বুকে,পিঠে বিভিন্ন জায়গায়।

সারা শরীরে বেশি লোম হলেও কি তাকে অবাঞ্ছিত লোম বলে?

না, সে ক্ষেত্রে একে বলে হাইপারট্রাইকোসিস (hypertrichosis)। এটি নারী পুরুষ যে কারো হতে পারে এবং এর কারণ ও চিকিৎসা সম্পূর্ণ  ভিন্ন।

অবাঞ্ছিত লোমের কারণ?

সাধারণত এর কারণগুলো হলো-পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, পুরুষ হরমোনের (androgen) আধিক্য, থাইরয়েড হরমোনের অস্বাভাবিকতা এবং সর্বোপরি কারো কারো ক্ষেত্রে এসব কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে।

কী কী পরীক্ষা করে কারণ জানা যায়?

অনিয়মিত মেন্সট্রুয়েশন, অতিরিক্ত ওজন, পুরুষালী কন্ঠস্বর, এ্যাকনি বা ব্রন, কপালের দু পাশ দিয়ে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রাথমিক ভাবে হরমোনের অস্বাভাবিকতা নির্দেশ করে। তবে, সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা জরুরি।

সাধারণত কী কী হরমোন পরীক্ষা করা হয়?

আ্যন্ড্রোজেন, টেস্টোস্টেরণ, থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিন, ল্যুটেনাইজিং হরমোন, ফলিকুলার স্টিমুলেটিং হরমোন ইত্যাদি।

প্রতিকারের উপায়?

প্রথমত অবাঞ্ছিত লোমের কারণ নির্ণয় করা জরুরি। যদি শরীরে অভ্যন্তরীণ কোনো জটিলতা থাকে, তবে তা দূর না করলে লোম দূরীকরণের কোনো পদ্ধতি’ই দীর্ঘ সময়ের জন্য লোমহীনতার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

লোম দূরীকরণের প্রচলিত পদ্ধতি?

সাধারণ ভাবে আমাদের দেশের নারীরা সাময়িক কিছু পদ্ধতি যেমন, ওয়াক্সিং, থ্রেডিং, এমনকি শেভিং ও করে থাকেন। যার কোনটিই নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত অথবা চির স্থায়ী সমাধান নয়। এতে শুধুমাত্র লোমগুলোকে তুলে ফেলা হয়, রোমকূপ থেকে নতুন লোম গজানো বন্ধ হয় না।

লোম দূরীকরণের স্থায়ী ও নিরাপদ উপায়?

অবাঞ্ছিত লোমের প্রকৃত কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার পাশাপাশি লোম দূর করার নিরাপদ ও স্থায়ী কিছু পদ্ধতি হলো- লেসার চিকিৎসা, অথবা হোম পালস লাইট এর সাহায্যে লোমকূপগুলোকে মেরে ফেলে নতুন লোম গজানো বন্ধ করে দেয়া।

লেসার এবং লাইট পালস – কোনটি অধিকতর কার্যকারী?

হোম পালস লাইট ডিভাইস ( Hair Free) – এ বিশেষ সেন্সর এর সাহায্যে শুধুমাত্র লোমকূপকে চিন্হিত করে পালস লাইট দিয়ে লোমকূপটি নষ্ট করে দেয়া হয় বলে এতে আশপাশের ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না।

কতদিন লাগে পুরোপুরি লোমমুক্ত হতে?

একেক জনের শরীরের লোমের ঘনত্ব ও গঠন একেক রকম, তাই সবার জন্য একটি চিকিৎসা সমানভাবে কাজ করবে না। দুই সপ্তাহ পর পর এই থেরাপী নিতে হয় এবং ৬-৮ টি সেশনে ফলাফল দেখা যায়।

অবাঞ্ছিত লোম একটি বিব্রতকর সমস্যা, এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি শরীরের বড় কোনো সমস্যার লক্ষণ হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাই একে অবহেলা না করে কারণ নির্ণয় করা উচিত। তবে শতকরা
১০% নারীর শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকা সত্বেও এটি হতে পারে।

সকল ক্ষেত্রেই স্থায়ী ও নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে হোম পালস লাইট (Hair Removal) হতে পারে বিড়ম্বনা ও অস্বস্তি থেকে পরিত্রাণের নির্ভরযোগ্য উপায়।bs

Related News