পিছন দিকে হাঁটার যে এতো উপকারিতা, আপনি আগে জানতেন কি?

Written by News Desk

Published on:

হাঁটা মানেই তো সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া। সেখানে পিছনের দিকে হাঁটতে গেলে তো বড় মুশকিল। তবে এই হাঁটা সাধারণ দৈনন্দিন কাজের মধ্যেকার হাঁটা নয়। কেন পিছনের দিক করে হাঁটবেন জানেন কি? এতে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে।

নিজের মানসিক ও শারীরিক ফিটনেসের জন্য পিছনের দিকে হাঁটার কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। একই ফিটনেস রুটিনে আমরা যেমন বিরক্ত হয়ে যাই, তেমন আমাদের মন ও শরীরও তাতে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে। ফলে একটা সময় পর তারা সঠিকভাবে কাজ করে না। আর সেইজন্যই মাঝে মাঝে অভ্যাসের বাইরে কিছু করা খুবই প্রয়োজনীয়।

পিছনের দিক করে হাঁটলে উপকার যেমন আছে তেমন অভ্যাসের বাইরে নতুন কিছু করার মজাও রয়েছে। যা শরীর আর মনকে সহজেই রিল্যাক্স করে। পাশাপাশি এদের কাজ করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

মানসিক উপকারিতা-

১. মানসিক দিক দিয়ে শারীরিক সচেতনতার বৃদ্ধি করে।

২. কোন রকমের অবসাদ থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে।

৩. নিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করে, ফলে ঘুমের সমস্যা থাকে না।

৪. আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

৫. চিন্তাশক্তি প্রখর হয়, ভাবনার পরিসর বেড়ে যায়। নতুন কিছু করার ইচ্ছে আরও বাড়ে।

ট্রেডমিলেও পিছন দিকে হাঁটতে পারেন

শারীরিক উপকারিতা-

১. পায়ের মাংসপেশীর শক্তি বৃদ্ধি পায়।

২. পায়ের ব্যাথা বা পুরনো আঘাত থেকে দ্রুত আরাম পেতে হেল্প করে।

৩. হাঁটার ক্ষমতা বাড়ে। যা শরীরকে নানাভাবে সাহায্য করে। পায়ের ব্যালেন্স নষ্ট হতে দেয় না।

৪. হেলদি ওয়েট বা ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫. মাংসপেশীর পাশাপাশি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

৬. হজম শক্তি বা মেটাবোলিজম বাড়ায়।

৭. পিছনের দিকে হাঁটলে ক্যালোরি বার্ন হয়। যা আপনার আমার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে আমাদের অজান্তেই।

পিছনের দিকে কীভাবে হাঁটবেন?

সাধারণভাবে আমরা যেমন সামনের দিকে হাঁটি ঠিক সেভাবেই পিছনের দিকে হাঁটবেন। প্রথম প্রথম হাঁটতে একটু অসুবিধা হবে তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে আসতে আসতে স্পিড বাড়াবেন। এটি সকালে বা বিকেলে জগিং করার সময় ৩০ মিনিট করে করবেন। যারা কোনো রকমের এক্সাসাইজ করার সময় পান না। তারা অন্তত এই একটি কাজ নিজের জন্য সময় বের করে করুন। দেখবেন হাজার একটা শারীরিক সমস্যা থেকে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসছে।bs

Related News