শীতের সকালের রোদ কী মিষ্টি, তাই না? শৈশবের শীতের দিনগুলোর কথা যদি মনে করেন, এমন অনেক স্মৃতি নিশ্চয়ই আপনারও রয়েছে যেখানে খুব ভোরে উঠে ভাই-বোনেরা সব একসঙ্গে রোদ পোহাচ্ছেন, মা-চাচিরা হয়তো রান্নাঘরে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত। মিষ্টি রোদে বসে আরও বেশি মিষ্টি পিঠায় কামড় বসানোর সেই সুখস্মৃতি কি ভোলা যায়!
শহুরে জীবনের ব্যস্ততায় অনেক চিত্রই বদলে যেতে পারে। তবু শীতের রোদ আগের মতোই মিষ্টি আর কোমল রয়ে গেছে। একটু সময় করে প্রতিদিন সকালের রোদটুকু পোহান। এটি আপনাকে শুধু স্মৃতিকাতরই করবে না, সেইসঙ্গে করবে অনেক উপকারও। তাই শীতের সকালে বিছানার ওম ছেড়ে রোদের কোলে আশ্রয় নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে প্রতিদিন গায়ে রোদ লাগালে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এটি আমাদের মানসিকভাবেও ভালো রাখে। তাই গায়ে রোদ মাখা জরুরি। শীতের নরম রোদ গায়ে মাখলে শরীর ভালো থাকবে। কারণ এই রোদ গ্রীষ্মের মতো তীব্র নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতে রোদ পোহানোর উপকারিতাগুলো-
ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
আমাদের হাড় ভালো রাখতে ভিটামিন ডি জরুরি একথা প্রায় সবারই জানা। তবে এটি ছাড়াও ভিটামিন ডি এর রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হলো রোদ। তাই প্রতিদিন রোদে কিছুক্ষণ হলেও থাকতে হবে। এতে ভালো থাকবে শরীর। পূরণ হবে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি। যারা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই প্রতিদিন রোদ পোহাবেন। এতে হাড়ের ব্যথা কমবে।
ঘুম ভালো হয়
আপনার যদি ঘুম কম হয় বা অনিয়মিত হয় তবে রোদে থাকার অভ্যাস করুন। অনিদ্রার এই সমস্যা দূর করতে কাজ করবে রোদ। আপনি যদি প্রতিদিন রোদ পোহান তবে শরীরে মেলাটোনিন হরমোন বাড়ে। এটি ঘুম আনতে সহায়ক। রোদ পোহানোর উপকারিতা হিসেবে ভালো ঘুম হবে আর ভালো ঘুমের সুফল আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ভাবছেন, রোদ পোহানোর সঙ্গে ওজন কমার কী সম্পর্ক? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সূর্যের আলোতে থাকলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে অনেকটাই। আর কোলেস্টেরল কমলে কমে ওজনও। বুঝতেই পারছেন, কেন ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত রোদ পোহাতে হবে।
ফাঙ্গাল ইনফকশন দূর করে
ফাঙ্গাল যেকোনো ইনফেকশন দূর করতে কাজ করে সূর্যের আলো। তাই আপনার শরীরে ছত্রাকজনিত কোনো ইনফেকশন থাকলে প্রতিদিন রোদে বসতে হবে। এতে দ্রুতই আপনি ক্ষতিকর ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও ইনফেকশনের স্থানটি সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জন্ডিস দূরে রাখে
জন্ডিস হলো নীরব ঘাতক। এই রোগে একবার আক্রান্ত হলে ভুগতে হয় দীর্ঘ সময়। তাই জন্ডিস থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত রোদে বসতে হবে। সূর্যের আলোতে থাকা নানা উপকারী উপাদান আপনাকে এই মারাত্মক রোগ থেকে দূরে রাখবে।
কতক্ষণ রোদে বসবেন?
সুস্থ থাকার জন্য রোদ পোহানো কতটা জরুরি তা তো জেনেছেন, কিন্তু প্রতিদিন কতক্ষণ সময় রোদে থাকতে হবে তা জানেন কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকতে হবে। এতে পাবেন উপকার।
আবহাওয়ার খবর নিয়ে ইদানিং দক্ষিণবঙ্গের মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। কবে বৃষ্টি? সেদিকেই চাতকপাখির মতো তাকিয়ে তাঁরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে,…
মানুষ সামাজিক জীব। আর এ কারণে কেউই একা বাঁচতে পারে না। সবার জীবনেই সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। আর আবেগের বশে অনেকেই…
খাবার খাওয়ার পরপরই পেটে ব্যথার বেশ কিছু কারণ আছে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে অনেকেরই পেটে ব্যথা করে, আবার ভরপেট খাওয়ার…
গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলির করা জালিয়াতি ফাঁস করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া! সেইসঙ্গে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক ও…
গরমে এখন কমবেশি সবারই দিশেহারা অবস্থা। গরমে অনবরত ঘামের কারণে রাস্তায় বের হলে এ সময় জামা যেন পুরো ঘামে ভিজে…
ভিটামিন ডি সানসাইন ভিটামিন নামেও পরিচিত। শরীর সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলেই শরীরে ভিটামিন ডি’র যোগান মেলে। যদিও কিছু খাবার থেকে এটি…