সকালে ঘুম ভেঙে একটি ঝলমলে দিন শুরু দেখতে চান সবাই। এরপর সকালের নাস্তা, অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানোর ইচ্ছে কার না হয়! আর সপ্তাহ শেষে ছুটির দিন মানেই নিজের মনের মতো আয়োজন। এসব যে কারও ক্ষেত্রে ঘটে না, তা নয়। কিন্তু এমন অনেকে আছেন, যাদের এই সৌভাগ্যটুকুও হয় না। তারা সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করতে থাকেন।
সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করার পেছনে কারণ হতে পারে বিভিন্ন অসুস্থতা। আবার আমাদের জীবনযাপনের ধরনও অনেকটা দায়ী। অনেক সময় জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলেই সারাদিনের ক্লান্তি লাগার সমস্যা অনেকটা কেটে যায়। সেজন্য আপনাকে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে তা জেনে নিন-
সঠিক খাবার
আমাদের সুস্থ থাকার বড় অংশই নির্ভর করে সারাদিন কী খাচ্ছি তার ওপর। তাই অভ্যাস করুন প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার। অনেকে সারাদিন নানা কারণে না খেয়ে থেকে সন্ধ্যায় পেটপুরে পোলাও-বিরিয়ানির মতো ভারী খাবার খেয়ে ফেলেন। এরকমটা কখনো করতে যাবেন না। এতে আপনার শরীরের পুরো ইমিউন সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই দিনে তিনবেলা সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করুন। পাশাপাশি দুইবেলা হালকা নাস্তা খেতে পারেন। প্রচুর জল পান করুন। এতে শক্তি পাবেন। সারাদিন আর ক্লান্তি অনুভব করবেন না।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাত জেগে টিভি দেখা কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাস অনেকের। এতে নষ্ট হয় অনেকটা সময় সেইসঙ্গে নষ্ট হয় ঘুমও। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বর্তমানে এই অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য এই অভ্যাস বাদ দিন। কারণ ঘুম কম হলে তা আপনাকে দিনদিন ক্লান্ত করে তুলবে। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ধরনের গ্যাজেট দূরে সরিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত মিনিট পনেরো হাঁটুন। এরপর ঘুমাতে যান। ঘুম ভালো হবে।
মানসিক চাপ
মন থাকলে মানসিক চাপও থাকবে। সংসার, অফিস, সম্পর্কসহ নানা কারণে মানসিক থাকতে হতে পারে। তবে তা বাড়তে দেওয়া যাবে না। কোনো কারণে মানসিক চাপ অনুভব করলে তা সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা করুন। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে হজমে গোলমাল দেখা দিতে পারে। হতে পারে পেটের সমস্যা। সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করার, কোনোকিছুতে আগ্রহ বোধ না করার অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ।
ওজন
ক্লান্তি লাগার অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার ওজন। আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় তবে কাজ করতে শক্তিও বেশি ক্ষয় হবে। এর ফলে ক্লান্তি অনুভব করবেন। তাই উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। এতে সুস্থ থাকবেন এবং ক্লান্তি অনেকটাই কম অনুভূত হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…
এই গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি পান করার বিকল্প নেই। এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। এছাড়া মিষ্টি স্বাদের ডাবের পানি…