যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন, তারা দিনের পর দিন কিছু ভুল কাজ করে নিজের বিপদ ডেকে আনেন। এমন কিছু কাজের কথা জানুন টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে।
ভুলভাল মিশ্রণ: ডাক্তারের পরামর্শ না মেনে একটির সঙ্গে আরেকটি মিশিয়ে সেবন করলে বিপদ বেড়ে যায়। কিছু কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো একই পাত্রে একই মিশ্রণে দ্রবীভূত হলে ‘বিষের’ মতো কাজ করে!
বারবার সেবন: দ্রুত সেরে উঠতে নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে ওষুধ সেবন মোটেও ঠিক নয়। কত সময় পরপর ওষুধ খেতে হবে সেটি ডাক্তারের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নেবেন। না বুঝলে আবার প্রশ্ন করবেন।
বিশেষ কিছু ওষুধ নিজেই বন্ধ করে দেওয়া: অনেকসময় সুস্থ হয়ে গেছেন মনে করে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকেই। ফলে হিতে বিপরীত হতে দেখা যায় প্রায়শই।
বিশেষ করে ‘অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি’ বা মানসিক অস্বস্তি দূর করার ওষুধের ক্ষেত্রে এটি বেশি প্রযোজ্য।
চিকিৎসকের পরামর্শে যারা দীর্ঘদিন এই ধরনের ওষুধ সেবন করছেন তারা যদি হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দেয় তবে দেখা দিতে পারে মারাত্মক বিপত্তি।
ফার্মেসি থেকে ইচ্ছেমতো ওষুধ কেনা: সর্দি, জ্বর, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় পড়লে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন আছে এমনটা অনেকেই ভাবেন না। বরং ফার্মেসিতে গিয়ে মনের মতো ওষুধ কিনে এনে খেতে থাকেন।
বেশিরভাগ সময় এই পদ্ধতিতে প্রয়োজন মিটে গেলেও একবার হিতে বিপরীত হলেই ভয়ংকর বিপদে পড়ে যেতে পারেন।
যাদের নিয়মিত কোনো ওষুধ খেতে হয় তারা যদি এমন কোনো ওষুধ খেয়ে বসেন যা তাদের পুরোনো ওষুধের সঙ্গে বিপরীত বিক্রিয়া করে তবেই বাঁধবে বিপত্তি। ছোট রোগ সারাতে গিয়ে বড় রোগ বেঁধে বসতে পারে।
আর জ্বরকে কম গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। শরীর গরম হওয়াকে চিকিৎসকেরা ‘রোগ’ বলেন না, অন্য রোগের উপসর্গ বলে থাকেন।