অ্যালোভেরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো নানা উপাদান। এগুলো আমাদের শরীরকে বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত করে থাকে। রূপচর্চা থেকে স্বাস্থ্যের যত্ন সব দিকই বজায় রাখতে পারেন অ্যালোভেরায়।
ওজন কমাতে: অ্যালোভেরার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড ও উপকারী কিছু উৎসেচক। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে এই রস। তবে এর স্বাদ তেতো। তাই ব্লেন্ডারে এর শাঁস নিয়ে তার সঙ্গে জল, বরফ, মধু ও লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে প্রতিদিন সকালে তা পান করুন।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে: এই পানীয় নিয়মিত পান করলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তবে ইতোমধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়: অ্যালোভেরার পাতার নিচে ল্যাটেক্সটি নামে হলুদ রঙের আঠালো পদার্থ পাওয়া যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে: অ্যালোভেরার মূল উপাদান জল। এই কারণে এটির ব্যবহারে বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতা। ফলে বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায় ত্বক। সতেজ অ্যালোভেরা হলে সরাসরি তার শাঁস বের করে ত্বকে লাগাতে পারেন।
বাজারেও প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার শাঁস অথবা জেলের সঙ্গে দুধ, মধু, কাঁচা হলুদ বাটা ও দুধের সর মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা, শসার রস ও দইয়ের তৈরি প্যাক ত্বকের ট্যান এবং ব্রণ তাড়াতেও ভালো কাজ করে।
চুল পড়া কমাতে: চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে পারে অ্যালোভেরা। এর রসে আছে প্রোটিওল্যাক্টিক এনজাইম, যা মাথার তালুর কোষগুলোর স্বাস্থ্যরক্ষায় সক্ষম। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমবে, বাড়বে চুলের দৈর্ঘ্য। দূর হবে মাথার খুশকি এবং সংক্রম