অলসতার উপকার গুলো দেখেনিন একঝলকে

Written by News Desk

Published on:

অলসতাকে সব সময়ই খারাপ ভাবা হয়। আপনি কিছুটা অলসতা প্রবণ হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এটি নিয়ে আপনার মধ্যে কিছুটা অপরাধ প্রবণতা কাজ করে।

কিন্তু এমন একজন আছেন যিনি অলসতাকে নিয়ে গর্ব করেন।

লুচি গ্রান্সবুরি একজন স্বঘোষিত ‘অলস’। তিনি এর জন্য বেশ গর্ব করেন।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের অভিনেতা লুচির দাবি, অলস হওয়াকে যতটা খারাপ ভাবা হয়, এটি আসলে ততটা খারাপ নয়।

গবেষকরাও তার তত্ত্বকে সমর্থন দিচ্ছেন।

লুচি বলেন, ‘অলস মানুষেরা বেশি ক্রেডিট ডিজার্ভ করে।’

তার দাবি, অলসতাকে প্রায়শই নেতিবাচক আচরণ হিসেবে দেখা হয় কিন্তু এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। কারণ এটা আপনাকে-

১. অগ্রাধিকার নির্ধারণে সহায়তা করে

২. বেশ শক্তির যোগান দেয়

৩. কাজ দ্রুত শেষ করতে পথ দেখায় যাতে করে একই কাজ দ্বিতীয়বার করতে না হয়

আলস্য মস্তিষ্ককে পরিশ্রমী করে তোলে

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাসুদ হোসেইন বলছেন অলস হলে সেটি মস্তিষ্ককে পরিশ্রমী করে তোলে।

তিনি অলস ও অলস নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালিয়েছেন।

‘আমরা তাদের একটি টেস্ট দিতে বলেছিলাম।’

এর ফলাফল?

অলস মানুষের মস্তিষ্ক বেশি শক্তি খরচ করে।

এটা খুব বেশি অবাক হওয়ার মতো বিষয় না যে অলসরা পুরস্কারের জন্য কম চেষ্টা করবে কিন্তু যখন মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হলো তখন বিজ্ঞানীরা খুব অবাক হলো।

‘অলসদের মস্তিষ্ক অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিলো। এটা গঠনশৈলীর দিক থেকে নয় বরং যখন তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলো তখনকার সক্রিয়তার দিক থেকে,’ বলেন প্রফেসর হুসেইন।

তিনি বলেন, বিস্ময়কর হলেও সত্য যে অলসদের মস্তিষ্ক ছিলো বেশি সক্রিয়।

কিন্তু যদি অলস ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বেশি সক্রিয় থাকে তাহলে আলস্যকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয় কেন?

Related News