আপনার ত্বক নমনীয়তা হারাচ্ছে ,পরিচর্যায় এই ভুলগুলি করবেন না

Written by News Desk

Published on:

আমাদের লাইফস্টাইল এখন এমন হয়েছে যে শারীরিক কার্যকলাপ একপ্রকার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে তার ওপর দূষণ, মেকআপ, লাইফ স্ট্রেস, কসমেটিক এই সবকিছুর  প্রভাব পড়ে ত্বকে। এর ফলে অকালেই বেড়ে যায় ত্বকের বয়স। চামড়ার কুচকে যাওয়া, চোখের কোণে, কপালে, গলায় সুক্ষ্ম রেখা দেয় কিংবা চামড়া ঝুলে যায়। সময় থাকতে ত্বকের প্রয়োজনীয় পরিচর্যার দিকে মনোযোগ না দেওয়ার ফলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ত্বকের সমস্যা প্রকট হলে তখন দ্রুত উপশমের পথ হাতড়াই এবং বিজ্ঞাপনে যা দেখি তাতেই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যা নিষ্পত্তির বদলে আরও বেড়ে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এই সমস্যগুলো হয় তা হলে জেনে রাখুন এই অবস্থায় ত্বকের যত্ন নেবেন কীভাবে আর কোন কোন কাজগুলো ভুলেও করবেন না তা নিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিউটি টিপস দিয়েছেন শাহনাজ হুসেন। সেগুলো কি কি জেনে নিন-

সুর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করুন

ত্বককে কড়া রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি আপনার ত্বককে সূর্যের সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির থেকে সঠিক ভাবে ত্বকের রক্ষা করা না হলে ত্বকের ইলাসটিসিটি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। বিশেষ করে দুপুর ও বিকেলের তীব্র রোদ থেকে ত্বকের রক্ষা করা উচিত। এমনকি ঘরে থাকলে তখনও  সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

ক্র্যাশ ডায়েট ভুলেও করবেন না

ক্র্যাশ ডায়েট ত্বকের ওপর সহজেই প্রভাব ফেলে এটা তাত্ক্ষণিকভাবে চামড়া ঝুলিয়ে দিতে পারে। যদি কেউ সুস্থ থাকে এবং তার ওজন অবিলম্বে কমে যায়, তখন বাড়তি চর্বি সহজে পেশীতে রূপান্তরিত হতে পারে না। এর ফলে ত্বক ঝুলে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে পেট,কোমর ও ঘাড়ের ত্বক দ্রুত ঢিলা হয়ে যায়। তাই ওজন কমানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন এবং আসতে আসতে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। এটি একটি ক্র্যাশ ডায়েটের মতো ত্বকের ততটা ক্ষতি করবে না।

ওয়েট লসের সময় মাসাজ করতে ভুলবেন না

ওজন কমে গেলে আমাদের ত্বক আলগা হয়ে যায়। এই সময় ত্বক টানটান রাখতে নিয়মিত মাসাজ করুন।  এটি ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাসাজের সময় চাইলে অ্যান্টি-এজিং তেল ব্যবহার করতে পারেন যা ত্বকের ইলাসটিসিটি বাড়ায় ও ত্বকে হাইড্রেশন বজায় রাখে।

স্কিন টাইটেনিংয়ের জন্য ফেস প্যাক লাগাতে হবে নিয়মিত

পরিবেশ দূষণ স্ট্রেস হোক কিংবা বয়স বাড়ার প্রভাব খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাওয়া যায় মুখ ও গলায়। এই পরিস্থিতিতে কলা, ওটস কিংবা দুধ ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক লাগান। কলাকে প্রকৃতির বোটক্স বলা হয় এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।

মুখে গরম জল ব্যবহার করবেন না

মুখ এবং ত্বকে খুব গরম জল ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এতে ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হয় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে ঢিলা হতে থাকে। গরম জল ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেলও শুষে নেয়।

ধুমপান না করাই ভাল

ধুমপান ত্বকের খুব বেশি ক্ষতি করে। এর কারণে আপনার ত্বক আলগা হয়ে যায় এবং বয়সের লক্ষণগুলি তাড়াতাড়ি দেখা দিতে শুরু করে। ধুমপানের কারণে ত্বকের চুলকুনি এবং ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হতে পারে।b

Related News