আমরা হাঁটার সাথে শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তনের সম্পর্কের বিষয়ে খোঁজ খবর করে ৫টি বিষয় চিহ্নিত করতে পেরেছি। এগুলো আপনার জীবনে আমূল পরিবর্তন আনবে বলে আমাদের বিশ্বাস। শুধু প্রয়োজন আপনার একটু চেষ্টা এবং মনোবল। আসুন দেখি কি রয়েছে আপনার জন্য।
১.দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
যদিও হাঁটার সাথে পায়ের সরাসরি সম্পর্ক কিন্তু এর উপকারিতা চোখের উপরও কাজ করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মতোই চোখ সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার ভূমিকা রয়েছে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গ্লুকোমার মতো চোখের জটিল রোগ থেকেও মুক্তি দিতে সক্ষম।
২.হৃদরোগ থেকে বাঁচায়
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে হাঁটার অভ্যাস দৌড়ানোর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এতে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার মাধ্যমে হার্টের বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৩.ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে
হাঁটা এক ধরণের অ্যারোবিক এক্সারসাইজ যা রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুসকে শরীরের নানান বিষাক্ত পদার্থ এবং আবর্জনা দূর করার ক্ষমতা দেয়। হাঁটার সময় গভীর নিশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
৪.অগ্ন্যাশয়ের উপর উপকারি প্রভাব ফেলে
শুনতে অবাক লাগলেও এটা বাস্তব যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে দৌড়ের চেয়ে হাঁটার অভ্যাস অনেক বেশি কার্যকরী। ৬ মাস ধরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত দৌড়ান তাদের চেয়ে নিয়মিত হাঁটেন এমন মানুষদের গ্লুকোজ সহনশীলতা প্রায় ৬গুণ বেশি। সুতরাং আমরা এ কথা বলতেই পারি অগ্ন্যাশয়ের উপর হাঁটার প্রভাব অসাধারণ।
৫.হজম শক্তি বাড়ায়
প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটলে কোলোন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার সাথে সাথে হজম শক্তিও বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে তুলতে হাঁটার বিকল্প নেই। যারা নিয়মিতভাবে বদ হজম বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তারা খাওয়ার ১৫ মিনিট পর ২০/৩০ মিনিট হাঁটলে অচিরেই সুস্থ বোধ করবেন।