তবে থাইরয়েড হরমোন বা লেভোথাইরক্সিন খাওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। অনেক সময় ভুল পদ্ধতির কারণে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় না।
১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধটি সারা জীবন ধরে খেয়ে যেতে হয়। তাই পরীক্ষায় হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হলেও ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। মাত্রা বেশি কমে বা বেড়ে গেলে ওষুধের ডোজ ঠিক করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) লেভোথাইরক্সিন খালি পেটে সেবন করতে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওষুধটি খেয়ে নেওয়া ভালো। ওষুধ খাওয়ার সময় থেকে সকালের নাশতার ব্যবধান অন্তত এক ঘণ্টা হওয়া উচিত। রাতে ওষুধটি খেতে চাইলে খাবারের অন্তত তিন ঘণ্টা পর তা খেতে হবে।
৩) গর্ভকালেও ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। এতে গর্ভবতী মা ও অনাগত সন্তান উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে। বরং গর্ভাবস্থায় ওষুধের মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই গর্ভধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ামাত্র চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনো কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি হলে প্রতিদিন যে মাত্রায় ওষুধটি খাচ্ছেন, সপ্তাহে দুই দিন তার দ্বিগুণ মাত্রায় ওষুধটি খান।