ইদানিং কি আপনার স্মৃতিশক্তি কি দুর্বল হয়ে পড়ছে।হটাৎ করেই সবকিছু ভুলে যাচ্ছেন। এই ধরণের সমস্যাকে আমরা কেউই তেমন গুরুত্ব দেই না।তবে শুরুতেই এই সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে পরে বিপদে পড়তে পারেন।কিন্তু তবে জানেন কি?এই সমস্যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
১.আবেগ প্রকাশ করতে না পারা: অনেকেই আছেন যারা বেশ চাপা স্বভাবের হয়ে থাকেন। সহজে নিজের আবেগ এবং মনে ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। মনের ভেতর কী হচ্ছে তা কাউকে বলেও বোঝাতে পারেন না। তাদের স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের মস্তিস্কের ডান অংশ আবেগ এবং বাম অংশ লজিক নিয়ে কাজ করে।
২.মানসিক দ্বন্দ্বে থাকা: অনেকে সময় বিভিন্ন কারণে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই মানসিক দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে থাকি। কোনো একটি কাজ করা উচিৎ হবে কি হবে না, কে কী ভাববে ইত্যাদি ধরণের কথা ভেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে অনেক মানসিক দ্বন্দ্বে পড়ি। কিন্তু এই কাজটি আমাদের মস্তিস্কের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তা আমরা অনেকেই জানি না। মানসিক দ্বন্দ্বে থাকলে আমাদের মস্তিস্কের নিউরন ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে।
৩.বিষণ্ণতায় থাকা: নানা কারনেই অনেককে বিষণ্ণতায় পড়তে দেখা যায়। বিষণ্ণতা আপাত দৃষ্টিতে তেমন ভয়ানক কিছু মনে না হলেও এর রয়েছে সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া। বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেক কম থাকে। এতে করে ধীরে ধীরে কমে যায় স্মৃতিশক্তি।
৪.ঘুম না হওয়া: অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় অনেক কম ঘুমান যা পরবর্তীতে অনিদ্রা রোগে পরিনত হয়। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া এবং না হওয়ার ওপর একটি মারাত্মক প্রভাব হলো স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্কে নতুন নিউরনের সৃষ্টি হয় যা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে সঠিক রাখে। কিন্তু ঘুম কম বা না হলে মস্তিস্ক তা করতে পারে না ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি দিনের পর দিন দুর্বল হতে থাকে।