কোন অযাজিত শব্দ থেকে মুক্তি পেতে হেডফোন বা ইয়ারফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রোজকার জীবনে এটি এখন খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে।গান শোনা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভিডিও দেখার মতো বিনোদন তো বটেই, এছাড়াও কাজের ক্ষেত্রেও হেডফোন খুবই প্রয়োজননীও।
এখন অত্যাধুনিক বিভিন্ন হেডফোন পাওয়া যায়, যেখানে কোনো তার যুক্ত থাকে না। যার ফলে অনেকেই সমস্যা এড়াতে সারাদিন কানে ব্লুটুথ ইয়ারফোন পরে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এর ফলে আপনি ডেকে আনছেন ঘোর বিপদ। অত্যাধিক পরিমাণে হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে একাধিক সমস্যা। কানের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য কোন কোন সমস্যা হতে পারে, দেখে নিন।
কানে কম শোনা : কানের শ্রবণ ক্ষমতা কেবল ৯০ ডেসিবেল। যার ফলে ক্রমাগত উচ্চ মাত্রায় গান বা অন্যান্য কিছু শোনার পর সেটি ৪০-৫০ ডেসিবেল হয়ে যায়। ফলস্বরূপ, দূরের কণ্ঠস্বরও শোনা যায় না। ধীরে ধীরে এর ফলে কানে কম শোনার মতো সমস্যা, এমনকি বধিরতা দেখা দিতে পারে।
হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি : অত্যাধিক হেডফোন ব্যবহার হার্টের জন্যে ভাল নয়। খুব দ্রুত বিটের গানগুলি অনেক বেশি সময় ধরে শুনলে হৃদ স্পন্দনের গতি অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে হার্টের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও মস্তিষ্ক এবং কানের ওপরও এটি প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে।
মাথা ব্যাথা : হেডফোন বা ইয়ারফোন থেকে নির্গত বৈদ্যুতিন চুম্বক তরঙ্গগুলি মস্তিষ্কের খারাপ প্রভাব ফেলে। যার ফলে দীর্ঘক্ষণ মাথাব্যথা হতে পারে।
অনিদ্রা : ইয়ারফোন সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। বেশি পরিমাণে হেডফোন ব্যবহার করলে নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন
আপনি।
মাথা ঘোরা : দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করলে অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে হঠাৎ করে মাথা ঘুরতে পারে, কারণ এটা সরাসরি মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে।
শিশুদের ক্ষতি : বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষত অতিমারীতে বাড়ি থেকে অনলাইনে পড়াশোনার জন্যে বাচ্চাদের হেডফোন ব্যবহার করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেটা ছাড়াও বাচ্চারা ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ার কারণে বেশি সময় হেডফোন ব্যবহার করছে। এর ফলে তাদের মস্তিষ্কের সঙ্গে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি থাকে, যেটির জন্যে তাদের ভুগতে হতে পারে সারা জীবন।