পূজার মরশুমে এবার বেকার চাকরিজীবীদের জন্য উপহারের ডালা নিয়ে এলো কলকাতা হাইকোর্ট। এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, বিগত কয়েক বছর ধরে কলকাতার রাজপথে চাকরির জন্য আন্দোলন করছেন বেকার যুবক-যুবতীরা। এবার সেই সমস্ত বেকার যুবক যুবতীদের জন্য সুসংবাদ শোনালো কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষা পর্ষদ প্রধানের প্রতিশ্রুতি মতো ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া হলেও নির্ধারিত পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করেনি শিক্ষা পর্ষদ। এবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা নিয়ে বড় ধাক্কা খেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৭ এবং ২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কয়েক লক্ষ যুবক-যুবতী। তবে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও নির্ধারিত পদে চাকরি পাননি তারা। আর এরমধ্যে রাজ্যের শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে নতুন ভাবে টেট পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি বের করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেই আবেদনপত্রের ভিত্তিতে টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়েছে শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে ২০১৭ এবং ২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিজীবীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর সেখানেই এবার হোঁচট খেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে এবং সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়, রাজ্যে প্রায় ৫৮ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে ২০১৭ এবং ২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যা চলতি বছরের ৩রা নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে শিক্ষা পর্ষদকে।