শিশুর মুখে আঙুল : উপায় আছে……….জেনে নিন…

Written by News Desk

Published on:

আজ একজন মা এসেছেন। তার ছেলের বয়স ১ বছর ৩ মাস। বেশিরভাগ সময় সে আঙুল মুখে পুরে রাখে এবং চুষতে থাকে। উপায় কি? হ্যাঁ, এই ঘটনা খুব সাধারণ। প্রায় সব মা-ই এ সমস্যায় পড়েন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা।

জন্মের পর ৭/৮ মাস বা আরও কিছু বেশি বয়স পর্যন্ত আঙুল চোষা প্রায় সব শিশুর ক্ষেত্রে একটি সাধারণ অভ্যাস কিংবা বলা যায়, তার বৃদ্ধির একটা অংশ। কিন্তু তার পর এটি আর স্বাভাবিক বলে গ্রহণ করা যায় না। বিষয়টি আরও বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যখন শিশু অনেক সময় ধরে চোষে কিংবা অনেক বড় হয়েও এ অভ্যাসটি থেকে যায়। এ প্রবৃত্তি শিশুর অপরিপক্বতা নির্দেশ করে, যা অনেক সময় মা-বাবার অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়।

এ ছাড়া অপরিষ্কার আঙুল মুখে দেওয়ায় পেটের অসুখ-ডায়রিয়া, বমি এবং পেটে কৃমি হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আঙুল চোষার কারণে শিশুর দাঁতের বিন্যাস নষ্ট হয়, দাঁত এবড়োখেবড়ো, বাঁকা হয়ে গজানোর আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞের মতে, বেশিরভাগ সময় আঙুল চোষা আদৌ কোনো সমস্যা নয়। যদি শিশু কোনো কারণে রেগে যায় বা উত্তেজিত হয়, তা হলে এটা তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। আবার কখনো কখনো যদি সে একঘেয়েমিতে ভোগে, তা হলে এটা তাকে উদ্দীপ্ত করে তোলে। আসলে আঙুল চোষা ঠিক কোনো অসুখের মধ্যে পড়ে না। এটা শিশুদের এক ধরনের আরামদায়ক অভ্যাস। তাই এই নিয়ে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

আঙুল চোষার সময় জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না কিংবা বিকল্প হিসেবে কোনো চুষনি দেবেন না। তবে অনেক সময় শিশুর এ অভ্যাসটি হতাশা ও নিরাপত্তাবোধের অভাব থেকে উৎসারিত তার মানসিক চাপ লাঘবের একটি পদ্ধতি। সে কারণে শিশুকে পরিচর্যার ব্যাপারে আরও সতর্ক ও যত্নবান হওয়া উচিত। তার মনে কোনো উদ্বেগ বা হতাশা আছে কিনা, থাকলে তা কেন, খেয়াল করুন এবং সমাধান করার চেষ্টা করুন। শিশু যেসব বিষয়ে আনন্দ পায়, আগ্রহ প্রকাশ করে, সে রকম কিছুতে মন ধরিয়ে দিন, যাতে সে এটি ভুলে যায়। একই ঘটনার জন্য বারবার শাসন না করে বরং শিশুর আচরণের ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করে সেদিকে উৎসাহিত করুন।

Related News