গর্ভাবস্থার সময় কোন কোন সবজি খাওয়া আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য উপকারী ; দেখেনিন বিস্তারিত ভাবে

১০ মাস ১০ দিন গর্ভে সন্তান নিয়ে চলা সহজ নয়। সামান্য ভুলেই হতে পারে বিপদ। একজন সুস্থ মা-ই পারেন সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম দিতে। ফলে বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতীদের ডায়েটের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন। গবেষণায় দেখা গেছে, মায়েদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতির কারণে নবজাতক সন্তানও নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই হবু মায়ের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট গ্রহণ করা।

বিট: গর্ভবতীদের জন্য খুব উপকারি একটি সবজি। এটি ভিটামিন-সি ও ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। যে কারণে বিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে, অ্যানিমিয়া ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ভ্রুণের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

মটরশুঁটি: মটরশুঁটি ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। পাশাপাশি এতে উচ্চ পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে। তাই এটি গর্ভবতীদের ডায়েটের জন্য অত্যন্ত জরুরি। গর্ভবতীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এটি।

ব্রকোলি: গর্ভাবস্থায় ডায়েটে ব্রকোলির ভূমিকা অশেষ। এটি পটাশিয়াম, ফোটেল, লোহা, ভিটামিন-এ, সি এবং কে দ্বারা সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মা এবং সন্তানের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক।

টমেটো: টমেটো কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বায়োটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে ইত্যাদির দুর্দান্ত উৎস। যা গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের স্বাস্থ্যকর বিকাশে সহায়তা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা, রক্তক্ষয় রোধ করা, হজমশক্তি উন্নত করা, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা, ইউটিআই প্রতিরোধ করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
তবে পরিমাণের ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা নেয়াই ভালো। কারণ এটি বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়।

পালং শাক: গর্ভাবস্থায় ডায়েটে পালং শাক রাখা অত্যন্ত জরুরি। এতে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশ ও গর্ভবতী মায়েদের মেজাজ ভালো রাখতে এবং গর্ভপাত রোধ করতে সহায়তা করে।
এ ছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, ভ্রূণের হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করা ও ত্বককে ঠিক রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
তবে এক্ষেত্রে একটি সপ্তাহে কতটা পরিমাণ খাবেন, তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই ডায়েটে রাখবেন।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

4 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

11 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

12 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

12 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago