চুল পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আসলে প্রত্যেক কোষের মত চুলেরও নির্দিষ্ট আয়ু আছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু এই চুল পড়াটাই অনেকের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যখন তা অতিরিক্ত হয়।
কেমিক্যালের ব্যবহারে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় কিছু অসুখের কারণেও চুল পড়া বাড়ে। চুল পড়া কমানোর কিছু উপায় প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টাইমস-
চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই তেল দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো নারিকেল তেল। নারিকেল তেল চুলকে মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান করে। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে চুলকে রক্ষা করে।
পেঁয়াজের রস এবং মেথি বাটা চুলে ব্যবহার করলেও ভালো ফল মিলতে পারে। পেঁয়াজ ও মেথির মধ্যে থাকা উপাদান চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং চুলকে ভিতরে থেকে মজবুত করে। পেঁয়াজ ভালো করে বেটে ১ মগ জলতে মিশিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজের রস মেশানো জল মাথায় লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
শ্যাম্পুতে বিটরুট নির্যাস, তেঁতুলের বীজ আছে কি না, লক্ষ্য রাখুন। এই উপাদানগুলো চুলের কোনো ক্ষতি না করে কার্যকরভাবে মাথার তালু পরিষ্কার করে। সরাসরি শুকনো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। তেল দিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল কেবল উজ্জ্বলই হয় না, এটি চুলের গোড়াকে মজবুত করে ও চুলকে মসৃণ করে। তবে অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। বিটরুট নির্যাস, অ্যাকুয়া, প্রো ভিটামিন বি-৫ সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
গরম জল মাথার তালুর গুরুতর ক্ষতি করে, এতে চুল পড়ে ও চুল দুর্বল হয়ে যায়। তাই চুলে কখনোই গরম জল ব্যবহার করবেন না। খারাপ খাদ্যাভ্যাস চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এজন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ ডিম, দুধ চুলের জন্য খুবই উপকারী।
ঘৃতকুমারী, আমলকি, শিকাকাই, নিমের গুঁড়া একই পরিমাণে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দিতে হবে। সপ্তাহে একবার এটির ব্যবহার চুল পড়া কমাবে। এছাড়া ডিম, মেথির গুঁড়া ও টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়।
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…
গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…