দীর্ঘ সময় ধরে কেটো ডায়েট ফলো করছেন ,শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে ,জানাচ্ছে চিকিৎসকরা

Written by News Desk

Published on:

দীর্ঘ সময় ধরে কেটো ডায়েট ফলো করায় কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী মিষ্টি মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা মনে করছেন দীর্ঘদিন কেটো ডায়েট মেনে চলার জন্য মাত্র ১৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁরা। এই ঘটনার পরেও চিকিৎসকরা কেটো ডায়েট সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করতে চাইছেন।

দীর্ঘ দিন ধরে এই ডায়েট মেনে চলা মানে অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যা কিডনির উপরে চাপ ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত কেটো ডায়েট না করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে ৬ মাসের বেশি কেটো ডায়েট মেনে চলা খুবই ক্ষতিকর। তা ছাড়া ৬ মাসেও মাঝে মধ্যে এই ডায়েট থেকে বিরতি নেওয়া উচিত। গুরগাঁও এর নারায়ণা হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান পরমীত কৌর বলছেন, কেটো ডায়েট শুরু করলে তার ফলাফাল আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে পাবেন। খুব দ্রুত এই ডায়েট প্রভাব ফেলে শরীরে। শরীরে জমে থাকা ফ্যাট এমন ভাবে কাজ করে যে কার্বহাইড্রেটের থেকে এনার্জি বেশি পরিমাণে তৈরি হয়।

তিনি আরও বলছেন, অনেকটা সময় ধরে ফ্যাট জাতীয় ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কিডনির উপরে চাপ পড়ে। কেটো ডায়েট যাঁরা মেনে চলেন তাঁদের মধ্যে লো প্রেশারের সমস্যাও দেখা যায়, যা পরবর্তী কালে হৃদরোগে পরিণত হতে পারে। যদি ওজন কমাতে হয় তাহলেই এই ডায়েট ফলো করুন। অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন বিশদে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সমীক্ষাতেও বলা হচ্ছে কেটো ডায়েটে বিভিন্ন ঝুঁকি তৈরি হয়।

কিডনি প্রোটিনের বিপাকে সাহায্য করে।আর কেটো ডায়েটের ফলে তাই কিডনির উপরেই চাপ পড়ে। গুড়গাঁও-এ ফর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্ট ইনস্টিটিউট এর চিকিৎসক সলিল জৈন বলছেন, কেটো ডায়েটে ফ্যাট ও প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। আর কার্বহাইড্রেট কম থাকে। তাই রেড মিটের মতো খাবার বেশি মাত্রায় খেলে কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের পক্ষে আরও ক্ষতিকর কেটো ডায়েট। তাই দীর্ঘদিন ধরে কেটো ডায়েট মেনে না চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

সিফুড, মাছ, মাংস, ডিম, চিজ, নারকেল তেল, সহ বিভিন্ন খাবার কেটো ডায়েটে রাখা হয়। এগুলির মধ্যে কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে। তাই ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে বলছেন চিকিৎসকরা।

Related News