জীবনের মানের প্রধান নির্ধারক হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাধারণত আমরা শরীরের অসুখ টের পেলেও নিজের কিংবা অন্যের মনের অসুখ টের পাই না। এ কারণে অনেকেই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, নেশাগ্রস্ত কিংবা আত্মহননকারী হয়ে ওঠেন। যা কারও কাম্য নয়।
একজন মানুষের মানসিক রোগী হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ দায়ী। এমনকি কিছু লক্ষণও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। যেমন-
অতিরিক্ত ঘুম
হাইপারসোমনিয়া হলো একটি ঘুমের ব্যাধি; যার কারণে একজন ব্যক্তির দিনে প্রচুর ঘুম হয়। অনেক সময় তিনি সম্পূর্ণ স্বস্তি অনুভব করতে সক্ষম হন। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমের অভাব পূরণ না হলে তা মানসিক রোগে পরিণত হয়।
নেতিবাচক চিন্তা ও অত্যধিক খাওয়া
নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস মানসিক সমস্যা সূচনার কারণ হতে পারে। কারণ মানসিক অসুস্থতার প্রধাণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত খাওয়া। একবারে খুব বেশি খাওয়া এবং পরে অনুভব করা যে আপনি বেশি খাবার খেয়ে ফেলেছেন। এই ঘটনা যদি বারবার ঘটে তার অর্থ আপনি ইটিং ডিসঅর্ডার-এর শিকার।
সাইকোটিক ডিজঅর্ডার
সচেতনতা এবং চিন্তা করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় সাইকোটিক ডিজঅর্ডার। এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল আপনি প্রায়ই বিভ্রান্ত হতে শুরু করেন। এমনকি বসে থাকতে থাকতে অন্য কোথাও হারিয়ে যান, কাল্পনিক শব্দ এবং ছবি দেখতে পান।