আধুনিক জীবনে অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই উদ্বেগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আমরা। স্বীকার করুন বা না করুন, দিনের কোনও না কোনও সময়ে সাংঘাতিক মানসিক চাপে থাকেন আপনি। কেউ কেউ আবার সারা দিনই। সকালে ঘুম থেকে উঠে, কাজে বেরোনোর সময়, কাজ থেকে ফিরে, সারাক্ষণ কিছু না কিছু ভয়ে থাকেন আপনি। আসলে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগের শিকার নিজেদের অজান্তেই।
আধুনিক জীবনে অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই উদ্বেগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। দৈনিক ডায়েটে কিছু বদল আনলেও এটি করা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক সে রকম কিছু খাবারের তালিকা। টেনশন থেকে হার্টের সমস্যা, এমনকী স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে উদ্বেগে। তবে নিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল এবং নিয়মিত সুস্থ খাদ্যাভ্যাস হাইপার টেনশনকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে। হাইপার টেনশনের রোগীদের খুব তাড়াতাড়ি ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা সব সময়ে উপদেশ দেন মশলাদার এবং নুনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন জোয়ান মেশানো জল খালি পেটে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জোয়ান খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে সত্যিই?
ভারতীয় মশলা কিন্তু অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর হয়। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই মশলা। বহু প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় মশলা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। জোয়ানও সে রকমই এক মশলা। পুরি, পরোটা, লুচি, থেকে শুরু করে রসম, সবেতেই ব্যবহার করা হয় জোয়ান। জোয়ানে থাইমল থাকে, যাতে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল অয়েল থাকে। ফলে খাবারে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়ে গন্ধ। থাইমল হজম শক্তি বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তসংবহন তন্ত্রকেও সুস্থ রাখে।
রোজকার ডায়েটে যোগ করুন জোয়ান। একাধিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত যে, নিয়মিত জোয়ান খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে শুধু শুধু জোয়ান খেতে অনেকেরই ভালো না-ও লাগতে পারে, তাই খালি পেটে জলের সঙ্গে মিশিয়ে জোয়ান খাওয়া দরকার। জোয়ান জল বানাবেন কী ভাবে? এক কাপ জলে এক চা চামচ জোয়ান ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। এ বার পরদিন সকালে জল ফুটিয়ে নিন। ফোটা জল ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত কয়েক মাস এটি পান করলেই আপনি সুফল পাবেন হাতেনাতে।bs