শীতে অনেকেরই পা ঘামে। সেই ঘাম থেকে দুর্গন্ধও হতে পারে। তবে এটা মানতে হবে যে, পা ঘামার বড় কারণ পা ঢাকা জুতা পরা। সারা গায়ে কম ঘাম হলেও পা ঘামে ভিজে যায়। তবে এই ঘাম মানেই যে তাতে দুর্গন্ধ হবে, তেমন নয়। দুর্গন্ধও নির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে জুতা না পরলেও ঘাম হয়। তাতেও দুর্গন্ধ হয়।
কেন পায়ে দুর্গন্ধ হয়? যেসব কারণ রয়েছে এর পেছনে-
ঘাম: এটাই দুর্গন্ধের সবচেয়ে বড় কারণ। সারা শরীরের থেকে পায়ের পাতায় বেশি ঘর্মগ্রন্থি থাকে। তাছাড়া অনেকে হাইপারহাইড্রোসিস নামক সমস্যায় আক্রান্ত হন। তার ফলে প্রচণ্ড ঘাম হয়। বংশগত কিংবা বিশেষ ওষুধের কারণেও এটি হতে পারে।
অপরিচ্ছন্নতা: অনেকেই এক মোজা না ধুয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরতে থাকেন। তাদেরও পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে।
জীবাণু: বিশেষ কিছু জীবাণুর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রেভিব্যাক্টেরিয়াম এবং প্রোপিওনি ব্যাকটেরিয়া। ঘামে এগুলো বাড়ে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
পরিচ্ছন্ন রাখুন: রোজ মোজা কাচুন। না হলে এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু জন্মাবে। সেগুলো পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবে। ফলে মোজা কাচুন নিয়মিত।
ছত্রাক: ঘাম হলে কিছু ছত্রাকের বাড়বাড়ন্ত হয়। এগুলোও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
শুকনো রাখুন: শুকনো রাখলে ব্যাকটিরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রণ কমবে। তাতে দুর্গন্ধের আশঙ্কাও কমবে।
খালি পায়ে থাকুন: বাড়িতে খালি পায়ে থাকুন। তাতে বাতাস-জল লেগে জীবাণু কিছুুটা কমবে। তাতেও পায়ের উপকার হবে।
জুতার বদলে চটি: জুতা পরলে পায়ে বেশি ঘাম হয়। তাতে দুর্গন্ধের আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময়ে জুতার বদলে চটি পরতে পারেন। তাতে পায়ে ঘাম কমবে।
প্লাস্টিকের জুতা নয়: এই ধরনের জুতায় সবচেয়ে বেশি ঘাম হয়। তাই এ ধরনের জুতা মোটেই পরবেন না।
বেকিং সোডা: জুতা খোলার পরে তার মধ্যে কিছুটা বেকিং সোডা ঢেলে দিন। এতে জুতার ভেতরের ভেজা ভাব কমবে। তাছাড়া জীবাণুও কমবে। ফলে দুর্গন্ধের আশঙ্কা কমবে।
কাপড়ের মোজা: সিন্থেটিক কাপড়ের মোজা পরলে পায়ে দুর্গন্ধ বেশি হয়। এর বদলে কাপড়ের মোজা পরুন। তাতেও গন্ধ কিছুটা কমবে।