এই শীতে বয়স্ক ব্যক্তিদের সুস্থ থাকার জন্য স্পেশাল কিছু খাবার, জেনেনিন অবশ্যই

Written by News Desk

Published on:

পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের (৬০ বছরের ঊর্ধ্বে) ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, কিডনি রোগসহ নানা রোগ থাকে। এ জন্য অনেকের নানান কিছু খেতে মানা। বয়স বাড়ায় রুচিও কমে যায়। ফলে পুষ্টিহীনতার শিকার হন তাঁরা। শীতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে নানা রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তার ওপর আছে অমিক্রনের চাপ। তাই শীতে বয়স্ক ব্যক্তিদের পুষ্টির দিকে নজর দেওয়া দরকার।

    • বয়স্ক ব্যক্তিদের খেতে হবে প্রয়োজনমতো। তাঁদের শারীরিক কার্যক্রম ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে একজন পুষ্টিবিদের সাহায্যে দৈনিক খাবারের তালিকা করে নেওয়া ভালো।
    • সময়মতো খাবার গ্রহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা উচিত নয়। আবার বারবার অসময়ে কিছু খাওয়াও ঠিক নয়। বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই খাবারে শৃঙ্খলা আনতে হবে।
    • ভিটামিন সিযুক্ত ফল পেয়ারা, আমড়া, লেবু, কমলা, আমলকী, জাম্বুরা ইত্যাদি খাওয়া যাবে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ে। সর্দি–কাশি, জ্বর উপশম করে। মাল্টা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর খাবেন পরিমিত।
    • ফলমূল ছাড়া শীতের শাকসবজিতেও আছে ভিটামিন সি। করলা, টমেটো, কাঁচা মরিচ, কাঁচা টমেটো, ফুলকপি, শিম, কাঁচা পেঁপে, বাঁধাকপি অন্যতম। পালংশাক, ডাঁটা, লালশাক, সবুজ কচুশাক, পাটশাক, কলমিশাক, লাউশাক, ধনে পাতায়ও আছে প্রচুর ভিটামিন সি। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের দৈনিক ৪৫ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন সি খেতে হবে।
    • এ ছাড়া শীতে আমিষ খেলেও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। প্রতিদিন একটি ডিম সেদ্ধ খাওয়া ভালো। সামুদ্রিক মাছ, মুরগি, হাঁস (বেশি তেলযুক্ত নয়) খেতে পারেন আমিষের উৎস হিসেবে।
    • শীতে গরম স্যুপ ঠান্ডা–সর্দি তাড়াতে ভালো কাজ করে। চিকেন, মাশরুম, নানা ধরনের সবজি মিশিয়ে স্যুপ করুন।

সতর্কতা

ভিটামিন সি অতিরিক্ত তাপে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কম তাপে, ঢাকনাযুক্ত পাত্রে, কম জল ব্যবহার করে বড় বড় টুকরা করে রান্না করুন। টুকরা করার আগে ধুয়ে নিতে হবে। জল ফেলে না দিয়ে ওই জলেই সেদ্ধ করুন। কিডনি রোগীদের আমিষ পরিমিত খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, ভালো থাকুন।

Related News