ট্রমা শব্দটা বহু মানুষের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। বর্তমানে ট্রমা একটা সাধারণ অসুখের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মানুষ সৃষ্ট কারণে ট্রমা হতে পারে। আবার অনেকের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা তারা সহজে ভুলতে পারে না।
পৃথিবীতে এমন মানুষও আছেন, যারা শুধুমাত্র টিভিতে কোন ঘটনা দেখেই ট্রমায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই গল্প শুনে, কোন ঘটনা দেখে বা অভিজ্ঞতা অর্জন করেও ট্রমা হতে পারে। মানুষ যেমন চলার পথে হোঁচট খেয়ে পরের মুহূর্তে পা সাবধানে ফেলে তেমনই ট্রমা হলেও অনেকে মানিয়ে নেয়।
আর যারা মানিয়ে নিতে পারে না তাদের জীবনে নেমে আসে ভয়ঙ্কর পরিণতি। ট্রমা মানে ভালো না থাকা। মানুষ ভেতর থেকে ভেঙেচুরে যায়, অথচ সেই কথা অনেকেই প্রকাশ করতে পারেন না। বহু শিশু আছে, যারা বড় হয়ে ওঠার পথে নানান ভাবে ট্রমা আক্রান্ত হয়, শুধুমাত্র বাড়িতে না বলার কারণে। ফলস্বরূপ পরবর্তীকালে মানসিক জটিলতা আরো বাড়ে। যা কতটা ক্ষতিকারক তার বলার অপেক্ষা রাখে না।
ট্রমার কারণে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এটি এমন এক মানসিক পরিস্থিতি যা সারা জীবন কাঁটার মতো বিঁধে থাকে। ট্রমা নামক এই মানসিক ব্যাধি থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছর ১৭ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় বিশ্ব ট্রমা দিবস।
কীভাবে বুঝবেন আপনি ট্রমায় আক্রান্ত ?
- হঠাৎ করে কোনো ঘটনা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন
- একই ঘটনা বারংবার স্মৃতিতে চলে আসা
- ঘুম চক্রে ব্যাঘাত
- বমি বমি ভাব
- মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা
- অকারণে অঝোরে ঘামা
- সামান্য কারণেই হৃদকম্পন বৃদ্ধি পাওয়া
- মদ্যপান এবং ধূমপানে বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়া ও
- চিন্তাভাবনা করার অক্ষমতা।