সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার আশ্চর্য্যজনক উপকারিতা! না জানলে মিস করবেন

Written by News Desk

Published on:

শুধু স্বাস্থ্যকর বিষয়গুলো নয়, অন্যান্য প্রয়োজনেও সকালে ঘুম থেকে ওঠার বিশেষ উপকার রয়েছে। ঘুমকাতুরে হয়ে থাকলেও কলেজ জীবন পর্যন্ত মোটামুটি আরামে ঘুম থেকে উঠতে পারতেন আবার ছুটি দিনটিও ঘুরে ফিরে কাটাতে পারতেন। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট শেষ করার পর যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন তখন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যাপক কাজের চাপে থাকার অভ্যাস করতে হবে।

তাই খুব শিগগিরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা করে ফেলুন। এখানে দেখে নিন এর পেছনে সাতটি বড় উপকারিতা।

১. নাস্তা : দিনের কাজ শুরুর জন্য সকালের নাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে উঠে একটা জম্পেশ নাস্তা করা অতি জরুরি কাজের মধ্য একটি। কারণ সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা পুষ্টি ও ভিটামিন দেয় আমাদের। তাই যেকোনো কাজে ভালো পারফরমেন্সের সঙ্গে একঘেয়েমি দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অধিক শক্তিসহ দেয় কাজে মনযোগ। দেহের কোলেস্টরেলের মাত্রাও রাখে নিয়ন্ত্রিত। নাস্তার পর ফলের জুস বা এক কাপ কফি দারুণ চাঙ্গা করে দেবে। তাই ভালো একটা নাস্তার জন্য সকালে উঠুন।

২. ব্যায়াম : সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি সুফল বয়ে আনবে ব্যায়াম। সেইসঙ্গে রাতের ঘুমও গভীর করবে ব্যায়াম। যারা সকালে উঠে ব্যায়াম করেন তারা সারাদিন ঝরঝরে থাকেন এবং রাতেও গভীর ঘুম উপভোগ করেন। তাই ব্যায়ামের সময়টি হাতে রেখে সকালে ওটার সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে।

৩. আরামে কাজ সারা : সকালে ঘুম থেকে জেগে মোবাইলে কয়েকবার ‘স্নুজ’ বোতামে চাপ দিলে শেষ পর্যন্ত কাজে দেরি করে ফেলবেন আপনি। তখন দৌড়াদৌড়ি করে অন্যান্য কাজ সারতে হয়। ফলে সকাল থেকেই শুরু হয় যন্ত্রণা। অথচ সময়মতো উঠে পড়লে আরামে কাজগুলো শেষ করতে পারবেন। অফিসে যাওয়ার সময়ও থাকবে যথেষ্ট। ফলে সেখানে সময়মতো পৌঁছতেও পেরেশানি হতে হবে না আপনাকে।

সকালে সময়মতো ঘুম থেকে উঠেই এমন তিনটি বিষয় লিখে রাখুন যার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে পারেন। এটি লিখে রাখুন এবং প্রতিদিনই কাজটি করুন। রাতে বেডরুমের বাইরে জার্নাল রেখে দিন। শুধু ঘুমানোর কাজ করুন। ঘুমের আগ দিয়ে বিছানায় বসে থাকুন। ফলে আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবে।

৪. আরো ঘুম : আমরা সবাই জানি, সাধারণত ৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন আমাদের। বিজ্ঞান অবশ্য বলে আরো কম ঘুমালেও চলে। রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের পরদিনের কিছু কাজ করে রাখার চিন্তা করি বা একটু বই পড়ে নেওয়া যায় ইত্যাদি। পর্যাপ্ত ঘুম আর অতিরিক্ত ঘুমের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকে। রাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর পর গোটা দিন আপনার যথেষ্ট ক্লান্তি লাগতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঘুমানো থেকে দূরে থাকুন। রাতে যতো কাজই থাক, অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর সময় নিয়ে বিছানায় যান। এতে দেরি ঘুম আসলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।

৫. আরো উৎপাদনশীল : সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো উৎপাদনশীল। তাই দুপুরের লাঞ্চের সময় দেখবেন আপনি যথেষ্ট কাজ সেরে ফেলেছেন এবং তা দেখেই আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। তাই ঘুম থেকে সকালে উঠুন। মোবাইলে তিন বার নয়, একবার স্নুজ বাটনে চাপ দিন। সকালে নাস্তা করার অন্তত বিশ মিনিট আগে ওঠার চেষ্টা করুন। আর ব্যয়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সে সময়টি হাতে রেখু উঠুন। বেশ কয়েক দিন সকালে ওঠার কাজটি করতে পারলে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। তখন জীবন হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়, উদ্যমি এবং শান্তিপূর্ণ।

Related News