স্নেহের আলিঙ্গন হাজারো সমস্যা মেটাতে পারে,এটাই সত্যি

মুন্নাভাইয়ের ম্যাজিক শুরুই হয় ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ দিয়ে। সে সত্যিই জাদুর আলিঙ্গন। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া এই আলিঙ্গন-রত্ন মুন্নার সবথেকে বড় অস্ত্র। স্নেহের আলিঙ্গন যে একটা হিলিং-এর একটা বড় উপাদান, তা স্বীকার করেন মনোবিদরাও।
স্নেহের আলিঙ্গনে কতবার বদ্ধ হয়েছেন? যদি পরামর্শ শোনেন, তা হলে যত বেশিবার পারুন স্নেহের আলিঙ্গনে বদ্ধ হন। কেন? এর সুফলটা নিজেই বুঝতে পারবেন। কোনও মানসিক চাপ হোক টেনশন, দুঃখ হোক বা রাগ, কান্না অথবা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার অনুভূতি— সবকিছুরই সমাধান করে দিতে পারে একটি দৃঢ় আলিঙ্গন। এতে রয়েছে আরও হাজারো উপকার, কী সে সব জানুন তা হলে–

১. এক আলিঙ্গনে আপনি পেতে পারেন স্বর্গীয় আনন্দ। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, স্নেহের আলিঙ্গনে অক্সিটোসিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মানুষের মনে খুশির বন্যা নিয়ে আসে।

২. আলিঙ্গনে দূর হতে পারে মানসিক চাপ। এখানেও জড়িয়ে আছে অক্সিটোসিন হরমোনের নাম। এর ফলে, দূর হয় যে কোনও ধরনের মানসিক চাপ। যদি, আপনার ভালবাসার প্রিয়জনটি অথবা কোনও নিকট জন প্রবল মানসিক চাপে আছেন, একবার শুধু তাঁকে জড়িয়ে ধরুন, দেখবেন তাঁর সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে।

৩. আলিঙ্গন আপনার যৌন চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কখনও যদি মনে হয় আপনার সঙ্গী আপনাকে আকর্ষণ করছে না, পাপবোধে ভুগছেন, তাঁর পাশে গিয়ে, বুকে মাথা দিয়ে একবার জড়িয়ে ধরুন। দেখবেন পাপবোধটা আর নেই। কারণ, এই ধরনের আলিঙ্গন ডোপামাইন নামে এক ধরনের হরমোনকে নিঃসৃত করে। যা যৌন অনুভূতিগুলিকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

৪. বলা হয় একটা দৃঢ় আলিঙ্গন হাজার হাজার পেনকিলার ট্যাবলেটের থেকেও বেশি শক্তিশালী। প্রবল যন্ত্রণা ছিঁড়ে খাচ্ছে, মানসিক হোক বা শারীরিক কোনও ব্যথা, একবার একটা স্নেহের আলিঙ্গনে বদ্ধ হন, দেখবেন ম্যাজিকের মতো সবকিছু হাওয়া হয়ে গেছে।

৫. আলিঙ্গন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। কারণ, আলিঙ্গনে যে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, তাতে আপনার মন নিশ্চিন্ত বোধ করে। আর এই নিশ্চিন্ত মন আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।

৬. এমন এক পরিস্থিতিতে আছেন যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজেকে সেখানে বেমানান বলে মনে হচ্ছে। পারলে এখনই বেরিয়ে যাবেন সেখান থেকে। একটা আলিঙ্গনে বদ্ধ হন, সমস্যা মিটে যাবে।

৭. আলিঙ্গনে কমে যায় রক্তচাপের সমস্যা। কারণ, সেই অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণ।

৮. বিছানায় একে অপরকে ভাল করে জড়িয়ে ধরুন। কমে যাবে হৃদরোগ সমস্যা।

৯. আলিঙ্গন শুধু আপনাকে একজনের কাছে ভরসা জোগায় না, সম্পর্কের ভিত্তিকে করে আরও শক্তিশালী।

১০. আলিঙ্গনে মা ও শিশুর মধ্যের দায়বদ্ধতাকে বাড়িয়ে তোলে। নিজের সন্তানকে যতবেশি পারুন আলিঙ্গনা্বদ্ধ করুন। দেখবেন সন্তানের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আরও বাৎসল্যের এবং সুন্দর হয়ে ওঠেছে। বিশেষ করে মা যখন সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং করান তখন এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

News Desk

Recent Posts

এই ফলেই কমবে জয়েন্টের ব্যথা, ভালো থাকবে হার্ট-চোখ

গ্রীষ্মকাল আসতেই বাজারে ভরে গেছে তরমুজ। লাল টকটকে সুস্বাদু এক ফল এটি। দেখতেও যেমন আকর্ষণীয়, তেমনিই লোভনীয় এর স্বাদ। জানলে…

2 hours ago

শীতে শিশুর জন্য বিপজ্জনক ৫ খাবার

শীতকালে শিশুর প্রতি নিতে হয়ে বাড়তি যত্ন। ঠান্ডা আবহাওয়া শিশুর কোমল শরীরে প্রভাব ফেলে। এ সময় শিশুরা জ্বর, ঠান্ডা, কাশি,…

3 hours ago

নারীদের শরীরে ডায়াবেটিসের যে ৬ লক্ষণ দেখা দেয়

ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ, যা সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসের কোনো প্রতিকার নেই। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ…

19 hours ago

মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এর অর্থ হলো, আপনি পাইওরিয়া বা দাঁত-মাড়ি সংক্রমণে ভুগছেন। তবে জেনে…

19 hours ago

নখের ইনফেকশন সারাবেন যেভাবে

নখের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তার মধ্যে নখের ইনফেকশন অন্যতম। এক্ষেত্রে নখ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। নখ কালো হতে পারে…

22 hours ago

দুপুরের ঘুম শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। যাকে বলা হয় ভাতঘুম। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান।…

22 hours ago