দমবন্ধ সময়ে ভালো থাকতে এই কাজগুলো করুন নিয়মিত, জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

Written by News Desk

Published on:

মাঝেমধ্যে চারপাশ দমবন্ধ লাগে। সে সময় কিছু উপায় আপনাকে দিতে পারে অভাবনীয় স্বস্তি। অধুনার পাঠকদের জন্য রইল ভালো থাকার তেমন কিছু পদ্ধতি

  • সাধ্য অনুসারে যেকোনো একটি কাজে মনোযোগ দিন।
  • মন খুলে নিশ্বাস নিন। মনোযোগ অন্য কোথাও নিবিষ্ট করুন।
  • চমৎকার কোনো বই খুলে বসুন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন।
  • মেডিটেশন, শরীরচর্চা কিংবা কোনো শিল্পচর্চা করতে পারেন নিয়মিত। করতে পারেন লেখালেখিও। অন্যের জন্য ভালো কিছু করার পূর্বশর্ত হচ্ছে নিজেকে ভালো রাখতে হবে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক মেলামেশা বাড়াতে হবে। কাছের মানুষের সঙ্গে কিছুটা হলেও কোয়ালিটি টাইম কাটাতে হবে। সম্ভব হলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ইনডোর প্ল্যান্ট কিংবা বাগান করা যেতে পারে। নাগরিক জীবনে নিজেদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সময় থাকে না। এটা করা যাবে না। নিজের যত্ন নিতে হবে। মানসিক চাপ যদি দৈনন্দিন জীবনকে বেশি ব্যাহত করে, তাহলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

কষ্টকর হলেও কখনো কখনো স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকুন। আনন্দের অনেক কিছুই আছে আমাদের চারপাশে। ফোনের স্ক্রিনের চেয়ে বাস্তবে এমন কাজের অভিজ্ঞতা আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। একই রকম অনুভূতিকে বুঝি।

  • আমরা আন্তরিক সহানুভূতি বোধ তৈরির চেষ্টা করে যেতে পারি। অন্যদের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করা, মনোযোগী হওয়া এবং তাদের কল্যাণের চেষ্টা করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
  • আন্তরিকতার অর্থ অন্যদের জন্য ভালোবাসা বোধ করা। অন্যদের আবেগে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলা নয়। চারপাশের সমস্যায় সাড়া দেওয়ার সুস্থ ও সুষম পদ্ধতি হচ্ছে আন্তরিক সহানুভূতি।
  • আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অনেক সহযোগী মানুষ। হাত বাড়ালেই দেখবেন, তাঁরা আছেন। খুব সাধারণ মানুষেরাও দুর্যোগের মুহূর্তে অসামান্য সাহসিকতা ও অবাক করা হৃদ্যতা প্রদর্শন করে থাকেন। মনুষ্যত্বের ওপর আপনার বিশ্বাস টিকে থাকে তাঁদের কারণে। পুনর্জন্ম নেয় আমাদের মানবিকতা বোধ। প্রতিটি ভয়ানক দুঃখজনক ঘটনাতেই কিছু ক্ষণজন্মা নায়ক থাকেন। তাঁদের দিকে লক্ষ করুন। দুঃসংবাদের জন্য দায়ী মন্দ লোকদের দিকে মনোযোগ না দেওয়াই মানসিকভাবে স্বাস্থ্যকর।
  • অতিশয়োক্তি বা বাড়িয়ে বলা থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশভঙ্গির কারণে খুব সাধারণ একটি নেতিবাচক সংবাদও অনেক বড় আকারে প্রতিভাত হতে পারে। কথায় কথায় নেগেটিভ মতামত দেওয়া অনুচিত।
  • নেতিবাচক শব্দ চয়ন মনের গভীরে মন্দ অনুভূতির শিকড় ছড়াতে সহায়তা করে। এটি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবে। আশাব্যঞ্জক পরিবেশও নিরাশার চাদরে মোড়া মনে হবে। সুতরাং শব্দ ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সংযমী হোন। নিজের অজান্তেই মানসিক অসুস্থতার ফাঁদে পা দিচ্ছেন কি না, লক্ষ রাখুন। আপনার প্রথম ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু আপনিই।

Related News