আপনার কি যেখানে সেখানে ‘হাই’ পায়! তাহলে এই বিরক্তিকর ‘অভ্যাস’ থেকে মুক্তি পেতে কি করবেন জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

রাতভর ঘুমাচ্ছেন, অথচ সকালে বিছানা ছাড়ার আগেই ফের হাই তুলছেন! বিছানা ছেড়ে গোসল, ফ্রেস হলেও বন্ধ হয় না হাই তোলা। এমনকি দৌড়-ঝাঁপ করে অফিসে যাওয়ার পর উঠতে থাকে হাই! যা অত্যন্ত বিরক্তির কারণ হতে পারে অফিসের বস কিংবা সহকর্মীদের কাছে। ঘন ঘন হাই তোলা থেকে রেহাই পেতে কিছু কাজ করুন, যা বিরক্তিকর এ অভ্যাস কমাতে পারে।

হাই তোলা কমাতে যা করবেন—

১. হাই তোলা কমাতে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা তরমুজ, শসা কিংবা গাজর খান। এছাড়া ফ্রিজে যদি আইসক্রিম বা মিষ্টি থাকে সেগুলোও খেতে পারেন। ঠান্ডা খাবার খেলে হাই তোলার প্রবণতা কমে।

২. ঠান্ডা জল বা পানীয় খেলে ঘন ঘন হাই ওঠে না। খেতে পারেন কোল্ড ড্রিংক্স। হাতের কাছে সে কোমল পানীয় না থাকলে বা তাতে ওজন বাড়ার ভয় থাকলে জলের মধ্যে বরফকুচি ফেলে হালকা করে চুমুক দিয়ে খান, হাই তোলা কমে যাবে।

৩. নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়লে হাই ওঠা কমে যায়। অনেকসময় শরীরে অক্সিজেনের অভাবেও হাই ওঠে। এই পন্থা অবলম্বন করলে সমস্যা খানিকটা কমবে।

৪. দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলেও একটা আলস্য বা একঘেয়েমি ভাব আসতে পারে। তখন হাই ওঠা বেড়ে যায়। একটানা বসে না থেকে মাঝে-মধ্যে একটু হেঁটে নিলে আলস্য ভাব বা হাই ওঠা কমবে।

৫. ধরা যাক কোনো ক্লাস বা মিটিংয়ে যাবেন, তার আগে ঘন ঘন হাই উঠছে। কী করবেন? একটি তোয়ালে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে কপালে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এই ভাবে ‘কোল্ড কমপ্রেস’ করলে হাই ওঠার প্রবণতা কমে।

৬. শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যোগব্যায়াস করতে পারেন। যদি মানসিক চাপ বা কাজের চাপজনিত কোনো ক্লান্তি থেকেও ঘন ঘন হাই ওঠে, তা কমাতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন।

Related News