মা হওয়ার পর পেটের মেদ কমানোর কিছু সহজ উপায়, সম্পর্কে জেনেনিন বিস্তারিত

Written by News Desk

Published on:

মা হওয়া প্রত্যেক নারীরই স্বপ্ন। তবে মা হতে হলে একজন নারীকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। নিজের অনেক শখ বা স্বপ্নই বিসর্জন দিতে হয়। সন্তান পেটে আসার পর থেকে নারীকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়। এসময় দেহে বেশ কিছু পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যায়। শারীরিক অনেক জটিলতা দেখা দেয়।

নিশ্চয়ই জানেন, গর্ভের সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীর পেটের আকারও বড় হতে থাকে। নতুন মায়েদের সন্তান জন্মদানের পরে পেটের চর্বি কমাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়ে থাকে। বড় এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কিছু সহজ উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত-

হালকা ব্যয়াম

সন্তান জন্মদানের পরে হালকা ধরনের ব্যয়াম করতে হবে। এমন কোনো ব্যয়াম করা যাবেনা যার ফলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে হাঁটা বা হালকা ইয়োগা করা যেতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যয়াম করতে হবে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

মায়েদের শরীর আগের মত করে ফিরিয়ে আনতে ডায়েট করে খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের তালিকায় সঠিক ভারসাম্য যুক্ত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট রাখতে হবে।

যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করা

বেশি পরিমাণে জল পান করার মাধ্যমে ক্যালরি বার্ন থেকে শুরু করে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। সন্তান জন্মের পরে সব মায়েরই উচিত বেশি পরিমাণে জল পান করা।

সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো

মায়ের দুধ পান করানোর মাধ্যমে দিনে প্রায় ৫০০ ক্যালরি পর্যন্ত বার্ন হয়ে থাকে। তাই এটি যেমন সন্তানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি মায়েদের শরীরের সমস্যা দূর করতেও এটি অনকে গুরুত্বপূর্ণ।

লবঙ্গ ও দারচিনি

মাঝারি একটি দারচিনি এবং দুই-তিনটি লবঙ্গ একসঙ্গে এক কাপ জলে ফোটাতে হবে। এই জল কুসুম গরম অবস্থায় পান করলে খুব তাড়াতাড়ি পেটের চর্বি কমানো সম্ভভ।

আদা-মধু-গোলমরিচ

এ উপাদানগুলোর সবগুলোই অনেক বেশি উপকারী।  সন্তান জন্মদানের পরে হওয়া বাড়তি মেদ কমাতে এ উপাদানগুলো অনেক কাজে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম জলে আধা চামচ গোলমরিচ, এক চামচ মধু এবং অল্প আদার রস ভালো করে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

যা করবেন না

>> মদ ও ধূমপান কোনোভাবে করা যাবেনা।

>> একসঙ্গে বেশি না খেয়ে বার বার অল্প করে খাবার খেতে হবে।

>> ডিহাইড্রেশন এবং বদহজম যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

>> হালকাভাবে এক্সারসাইজ বা ব্যয়াম করা শুরু করতে হবে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে এটি করা যাবেনা।

>> ওজন কমাতে কড়াভাবে ডায়েট করা যাবেনা। মা এবং বাচ্চার সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে মাকে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

Related News