আপনার জীবনসঙ্গী অসুখী হলে বোঝার সহজ উপায় কি? জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো জীবনসঙ্গী অসুখী হলে বোঝার উপায় কি তা নিয়ে। আমরা হয়তো আমাদের দৈনন্দিন সাংসারিক ঝামেলার ভিড়ে আমাদের সঙ্গীর মানসিক অবস্থার দিকে খুব একটা বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না। আবার হয়তো অনেক সময় আমরা আমাদের সঙ্গীকে প্রতিদিন স্বাভাবিক গতিতে সংসার করতে দেখে হয়তো ভাবতে পারি যে আমাদের মাঝে সবকিছুই তো ঠিক আছে । কিন্তু এমনটা নাও হতে পারে এই সমস্ত কিছুর আড়ালে এমনও হতে পারে যে হয়তো আমাদের সঙ্গে এই সংসার জীবন নিয়ে একেবারেই সুখী নয় এই সংসার জীবন নিয়েও অনেক বেশি হতাশাগ্রস্থ। আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে আপনার জীবন সঙ্গী যদি সংসার জীবনে অসুখী হয়ে থাকে তাহলে আপনি কোন কোন লক্ষণ গুলো দেখে বুঝতে পারবেন। তাহলে বন্ধুরা চলুন দেরী না করে আমরা দেখে নেই যে কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে যে আপনার জীবনসঙ্গী সংসার জীবনে অসুখী।

সঙ্গীর কথার সুর নেতিবাচক

মানুষের মনে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনার উৎসই ঘটে একমাত্র হতাশা থেকে। আর এটা ধরা যেতে পারে একমাত্র আপনার সঙ্গীর কথা বলার ভাবভঙ্গি দেখে । আপনি যদি তার সাথে আপনার সংসার জীবন বা অন্য কোন বিষয়ে কথা বলতে চান এবং তার উত্তর যদি ইতিবাচক না হয় নেতিবাচক হয় এবং তার মুখ থেকে যদি আপনার আশানুরূপ কোন কথাই শুনতে না পান তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

সে শুধুই ঘর সঙ্গী জীবনসঙ্গী নয়

আপনারা একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন অথচ আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার কোন কথোপকথন, ঝগড়া-ঝাটি বা কোন ধরনের কোনো খুনসুটি হচ্ছেনা তাহলে আপনার বুঝে নিতে হবে যে এই সম্পর্কের মাঝে কোথাও কোনো গোলমাল হচ্ছে । আর একই ছাদের নিচে বাস করার পরেও দুজনার মধ্যে বিশাল বড় দুটো সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে এই বিষয়টা নিয়ে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে ।

অন্য কারো সাথে ফ্লার্ট

যদি আপনার সঙ্গী আপনার ব্যতীত অন্য কারও সাথে আনন্দময় বা স্নেহপূর্ণ কথোপকথন করে থাকে তবে শুরুতে তার বা তার চরিত্রটি নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক হবে না। কারণ এমনও হতে পারে যে আপনার সঙ্গে হয়তো আপনার কাছ থেকে যে পরিমাণে ঘনিষ্ঠতা পাওয়ার কথা সেই পরিমাণে পাচ্ছে না যার কারণে সে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির সাথে আদুরে আলাপ বা অন্য কারোর দ্বারস্থ হচ্ছে।

যদি খোটা দিয়ে কথা বলে

এই মিথ্যাটি দেওয়া পরোক্ষ তিরস্কারের একটি মাধ্যম। এই ক্ষেত্রে, প্রথমে ভাবার বিষয়টিটি হ’ল সঙ্গীটি সর্বদা এরকম ছিল বা এই অভ্যাসটি ইদানীং হাজির হয়েছে কিনা। অভ্যাসটি যদি নতুন হয় তবে আপনাকে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার উপর রাগ করেছেন তবে তা প্রকাশ করতে চান না। তবে আপনি যদি ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ করার পর সেটা কমে যায় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার সম্পর্কে চিড় ধরেছে।

সঙ্গী আর আগের মত নেই

লোকটি আগের মতো তবে তার আচরণ বদলে গেছে বলে মনে হয়। আমার অতীতের প্রফুল্লতা নেই, একসাথে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা বা ইচ্ছা আমার নেই । আপনি কোনও সমস্যা মনে করতে পারবেন না, তবে পরিস্থিতিটি স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। এটি সর্বদা অনুভূত হয় না। এগুলি গভীর হতাশার লক্ষণও হতে পারে। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুজনের মধ্যে সহজাত যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি দেখেন আপনার সঙ্গী সম্পর্কের পরবর্তী পদক্ষেপটি নিয়ে আলোচনা করা এড়াচ্ছেন, তবে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি সম্পর্কে হতাশা রয়েছে।

দূরে থাকলে ভালো কাছে আসলেই খারাপ

অন্যের সাথে হাসিখুশি ব্যক্তি যদি আপনার সামনে আসে তবে তিনি যদি বিচলিত হন, তবে অনুমান করা যায় যে আপনিই তাঁর মন খারাপের কারণ। আরেকটি দিক হ’ল আপনার মূল্যায়ন তাঁর কাছে চলে যাবে। আপনি কোনও কিছুর প্রশংসা করেন বা আপনার ভালবাসা প্রকাশ করেন তা বিবেচ্য নয়।

ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলে

আপনারা দুজন যদি একসাথে বাইরে যেতে, দেখা করতে, খেতে, কথা বলতে নারাজ হন, তবে সম্পর্কটি নিয়ে আলোচনা করার সময় এসেছে। হঠাৎ তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারে। বার্তা না দেখা, কল ধরে না রাখা, এই ঘটনাগুলি নিয়মিত ঘটে। আবার যখন তাদেরকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তাদের কাছে কোনও কারণ নেই, বা বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যা বলার কোনও চেষ্টাও তাদের নেই।

ঝগড়ার রেশ না কাটা

এমন হয়েছে যে আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার ঝগড়া হয়েছে এবং এই ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনার সঙ্গী যদি দিনের-পর-দিন মুখ গোমড়া করে বসে থাকে এবং আপনি যদি এই বিষয়টি মিটমাট করতে চান তার পরেও সে যদি সেই বিষয়টা নিয়ে আপোষ না করে তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে এই সমস্যার সমাধানে আপনার সঙ্গীর বিন্দু পরিমাণ আগ্রহ নেই বরং সে এই জায়গা থেকে বের হবার রাস্তা খুজছে তাহলে অবশ্যই আপনাদের এই সম্পর্কটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে ।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Related News