চারটি বিশেষ কারণে ভুলেও করবেন না বিয়ের জন্য হুড়োহুড়ি, জেনেনিন তার কারণ

Written by News Desk

Published on:

সদ্য মাস্টার্স করেছেন? নতুন চাকরি পেয়েছেন? বাড়ির লোক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব দেখা হওয়া মাত্রই বলে, কবে বিয়ে করবি? পাত্র ঠিক আছে নাকি দেখতে হবে? বিজ্ঞাপন দেব নাকি… ইত্যাদি প্রশ্নে? বা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন কি ভরে উঠেছে বন্ধুদের এনগেজমেন্ট আর বিয়ের ছবিতে? বা তাদের সদ্যজাত সন্তানের ছবিতে? আর এসব দেখে আপনি নিজে বেশ ভয় পেয়েছেন আর ভাবছেন এবার আমার কি হবে..।

একদমই ঘাবড়াবেন না। কবে বিয়ে করবেন, কেন বিয়ে করবেন এবং বিয়েতে কাদের ডেকে খাওয়াবেন তা একেবারেই আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেখানে কোন আবেগকে প্রশ্রয় দেবেন না। বন্ধুরা যতই বলুক, তোর বিয়ে কবে খাব বা তোর বিয়েতে জমিয়ে সাজব… এসব প্রলোভনে পা না দেওয়াই শ্রেয়। কারণ বিয়ে করার আগে তিনটি জিনিস মাথায় রাখুন:

১. বিয়ে করার উপযুক্ত সময় এসেছে কিনা

২. পারস্পরিক বোঝাপড়া

৩.বিয়েতে দুজনেই সহমত প্রকাশ করেছেন তো?

এবার অনেকেই আছেন যারা এই বিষয়গুলো মাথায় রাখেন না। বিয়ে মানেই তাদের কাছে এক ঝলক মুক্ত বাতাস। সেই মুক্ত বাতাসের পেছনে যে কারণগুলো থাকে তা একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

টাকা টাকা আর টাকা- অনেকেই প্রেম করার সময় বা পাত্র নির্বাচনের সময় দেখেন যে ছেলের টাকা কত আছে। ছেলেরাও তেমনি দেখে মেয়ের বাবার কত টাকা আছে বা পৈত্রিক সম্পত্তি কেমন আছে। তাহলে বিয়ের পর বউয়ের সঙ্গে ব্যাংক ব্যালান্সও খানিক বাড়ে। খাওয়া, ঘোরা আর শপিং জীবনের অঙ্গ হতে পারে। দেদার খরচা করে আর শখ আহ্লাদ মিটিয়েই জীবন কেটে যাবে। এই ভাবে কিছুদিন চলবে, তবে সবদিন নয়।

বাবা-মায়ের সঙ্গে আর থাকতে ভালো লাগছে না- বাড়ি ছাড়লেই কিংবা বিয়ে করলেই ঝামেলা মিটবে আর ফালতু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না এই ভেবে যদি বিয়ে করেন তাহলে জীবনের ষোলো আনাই মাটি। বাড়ির মত সুখের আশ্রয় আর হয় না। বাড়িতে মনকষাকষি হলে রাগ দেখানোর জায়গা থাকে। এখানে কিন্তু বিয়ের পর জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তেমনটা করা কঠিন।

দেখাশোনা করে বিয়ে- বাবা-মা বা আত্মীয়রা দেখে শুনে বিয়ে দিলে তা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ব্যতিক্রম তো থাকেই। বিয়ের আগে সেই মানুষটির সঙ্গে আলাপ পরিচয়ের সে রকম কোনও সুযোগ ছিল না। পরে দেখলেন মানাতে পারছেন না। তাই এক্ষেত্রে নিজেরা দুজন আগে যাচাই করে নিন। বিয়ের পর একসঙ্গে মানিয়ে থাকতে পারবেন কিনা। এছাড়াও একে অপরকে কতটা পছন্দ করছেন সেটাও জানা জরুরি। জোর করে বিয়ে নয়।

সামাজিক চাপ- সবার বিয়ে হয়ে গেল। বয়স বেড়ে যাচ্ছে। লোকে কি বলবে সে কথায় বেশি কান না দেওয়াই ভালো। শেষপর্যন্ত ঘর সংসার আপনিই করবেন। পড়শি এসে করে দেবে না।

অতএব সাবধান। বিয়ের ধুম লেগেছে বলে আপনাকেও যে গা ভাসাতে হবে এমনটা নয়। যথেষ্ট বোঝার ক্ষমতা রাখেন। সুতরাং নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই দেখে শুনে নিন। অপরের বাণীকে বেশি পাত্তা দেবেন না।

Related News