প্রতিটি মানুষেরই বিশ্রাম দরকার। বিশ্রামের মাধ্যমেই শরীর আবার নতুন করে নিজেকে পরবর্তী কাজের জন্য তৈরি করে নেয়। ঘুম হল এমনই এক স্বাভাবিক জৈবিক বিশ্রাম প্রক্রিয়া। ঘুমের সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল ক্রিয়া চলে। ঘুমের শারীরিক ও মানসিক দু’টি দিক রয়েছে। ঘুমের মধ্যেই শরীরের গঠনক্রিয়া চলে। তাই ছোট বয়সে মানুষ বেশি ঘুমোয়। পাশাপাশি ঘুমের মধ্যে শরীর নিজের মেরামতির সুযোগ পায়। সারাদিনের ধকল দূর করে।আর তাই প্রয়োজন রাতে ভালো ঘুমের। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ঘুমানোর জন্য যে বিসানা থাকে তা যদি আরামদায়ক না হয় তাহলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে ঠিক তেমনি বালিশের ক্ষেত্রেও। তাইতো আজকের লেখায় আমরা জানবো ভালো ঘুমের জন্য কোন ধরনের বালিশ ব্যবহার করবেন সে ব্যাপারে।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভালো ঘুমের জন্য কোন ধরনের বালিশ ব্যবহার করবেনঃ
বালিশের উপকরণ: বালিশের উপরকরণ প্রাকৃতিক হওয়াই ভালো। ফোমের বালিশ বেশ নরম হলেও ঘুমানোর জন্য মোটেই তেমন আরামদায়ক নয়। এ ধরণের বালিশে ঘাড় ব্যথা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যেরও নানারকম ক্ষতি হয়। তাই শিমুল তুলার তৈরি বালিশই ভালো ঘুম এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই একটু দামি হলেও তুলার বালিশই ব্যবহার করুন।
আকৃতি: বালিশের আকৃতি আপনার পছন্দ মতোই নির্বাচন করতে পারবেন। তবে খুব বেশি ছোট বালিশে আপনার ঘুম ভালো হবে না। মিডিয়াম, লার্জ, স্ট্যান্ডার্ড, কিং, কুইন ইত্যাদি নানা মাপের তৈরি করা বালিশ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এর থেকে আপনার পছন্দসই একটি বালিশ বেছে নিতে পারেন।
বালিশের কভার: বালিশের কভার খুব বেশি খসখসে হওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে কারুকাজ করা চাদরের সঙ্গে যেই বালিশের কভারগুলো দেওয়া থাকে সেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় ব্যবহার করা উচিত না। বালিশের কভার হিসেবে নরম সুতির কাপড়ের বা সার্টিন কাপড়ের কভারই সবচেয়ে ভালো।
বালিশের উচ্চতা: অতিরিক্ত উঁচু বা একদম নিচু বালিশ ঘুমের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। বালিশের উচ্চতা হওয়া উচিত মাঝারি। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বাঁকিয়ে মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোয়া যায়। যদি এক পাশে ফিরে শোয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিছানায় শোয়ার পরে কাঁধের সঙ্গে গলার উচ্চতা যত টুকু তত টুকুই হওয়া উচিত বালিশের উচ্চতা। আর যদি আপনি চিৎ হয়ে শুতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার ঘাড় এবং বালিশের উচ্চতা সমান্তরালে থাকা উচিত।