কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? ডাক্তারের কাছে না গিয়ে আপনার বাসায় থাকা কিছু জিনিসপত্র দিয়েই সামলাতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্য। চলুন রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে জেনে নিই কী কী খেলে এ সমস্যাটি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
তিল
তিলের দানার মধ্যে থাকা তেল আপনার পাকস্থলীকে আর্দ্র রাখে। এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন তিলের দানা। সকালের খাবারে অথবা সালাদের সাথে মিশিয়ে নিন তিলের দানা। খেতে মচমচে লাগবে, সেই সাথে পেট থাকবে শান্তি।
চিটাগুড়
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একচামচ চিটাগুড় খেয়ে ঘুমালে সকালেই ফল পাবেন। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে খুবই কার্যকর।
আঁশযুক্ত খাবার
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ফাইবার অর্থাৎ আঁশযুক্ত খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ব্রান সিরিয়াল, বিনস, নানারকমের ডাল, ওটমিল, আলমন্ডসহ বিভিন্ন রকমের বাদাম, বার্লি, শাকসবজি এবং টাটকা ও শুকনো ফলমূলে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকে। তাই নিয়মিত এসকল খাবার খেলে কমবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
রঙ চা
রঙ চা খান পুদিনা পাতা অথবা আদা দিয়ে। রঙ চা খেলে হজমের সমস্যা মেটে। আদা খেলে শরীরের ভেতরে উত্তাপ তৈরি হয় যেটা হজমে সহায়তা করে। আর চায়ের মধ্যে থাকা গরম জল হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি
চর্বি মানেই খারাপ কিছু নয় যদি সেটা উদ্ভিদজাত চর্বি হয়। জলপাই তেল, বিভিন্নরকমের বাদাম ও অ্যাভাকাডোতে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেটা আপনার পাকস্থলীকে পিচ্ছিল রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। আঁশযুক্ত সবুজ শাকসবজির সাথে জলপাই তেল মেখে এর সাথে অল্প কয়েকটা বাদাম অথবা এক চামচ বাটার এবং কয়েকটা ফল কুচি কুচি করে টোস্ট দিয়ে খান। হজমের সমস্যা দূর হবে।
লেবু জল
লেবু জল যুগ যুগ ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিষেধক হিসেবে অব্যর্থভাবে কাজ করে আসছে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে উদ্দীপনা দেয় এবং শরীরের ভেতরের বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বের করে দেয়। প্রতিদিন সকালে উঠে একটা লেবু চিপে রস বের করে জলের সাথে মিশিয়ে পান করুন। তবে হালকা গরম জলের সাথে মিশিয়ে পান করলে সবচেয়ে কাজে দেবে। শুধু জল নয়, চায়ের সাথেও লেবু খাওয়ার চেষ্টা করুন। দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।
কফি
কফি মলাশয়কে উদ্দীপনা দিয়ে আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে সহায়তা করে। শুধু কফিই নয়, হারবাল চা এবং গরম জলের সাথে লেবুর রস এবং অল্প একটু মধু মিশিয়ে খেলেও আপনার কোলনকে উদ্দীপনা জাগাতে সহায়তা করে।
কিশমিশ
কিশমিশে প্রচুর আঁশ থাকে, সেইসঙ্গে থাকে টারটারিক এসিড যেটা আপনার হজমে সহায়তা করে। যারা দৈনিক অল্প পরিমাণে কিশমিশ খান, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়।
ক্যাস্টর অয়েল
যুগ যুগ ধরে ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খালি পেটে এক থেকে দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে নিন, আট ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল টের পাবেন।
ব্যায়াম
দৈনিক ১৫ মিনিট যদি হাঁটেন সেটাও কাজে লাগবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে। যদি অনেক বেশি খাওয়ার পর ঘুম ঘুম লাগে কিংবা অস্বস্তি লাগে, সেসময় শুয়ে না থেকে অল্প একটু সময়ের জন্য হেঁটে আসুন। দেখবেন হালকা লাগছে। তবে ভরাপেটে বেশি ব্যায়াম করা উচিত নয়।
ডিম সেদ্ধ খেতে অনেকেই কমবেশি ভালবাসেন। তবে কারও কারও কাছে বেশি জনপ্রিয় ভাজা ডিম। ভেজে বা অমলেট বানিয়ে ডিম খেতেই…
বর্তমানে ডায়াবেটিস প্রতিটি ঘরে ঘরেই দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকে বুড়ো সবার শরীরেই বাসা বাঁধছে দীর্ঘমেয়াদী এই ব্যাধি। একবার ডায়াবেটিস ধরা…
মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…
সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…
শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…