নাস্তায় সহজ ও স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলে বাদাম খান নিয়মিত। এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রোটিনে ভরপুর। বাদাম স্বাস্থ্যের উন্নতি করার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
আমন্ড বাদাম: খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল), টোটাল কোলেস্টেরল এবং অক্সিডাইজড এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে, এগুলো সবই হৃদযন্ত্রের পক্ষে খারাপ। আমন্ড হৃদযন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। বাদামে ক্যালরিও কম থাকে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি অতিরিক্ত ওজনযুক্ত মানুষের রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। একমুঠো আমন্ডে ১৬১ ক্যালোরি রয়েছে।
কাজু বাদাম: নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে হজমের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যা। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, কাজু থেকে আসা ২০ শতাংশ ক্যালোরিযুক্ত ডায়েট বিপাক সিনড্রোমযুক্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপকে উন্নত করে। কাজু বাদাম শরীরের ওজন বা রক্তে শর্করার মাত্রায় কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে না। একমুঠো কাজুতে ১৫৫ ক্যালোরি থাকে।
হ্যাজেলনাট: অন্যান্য বেশিরভাগ বাদামের মতোই হ্যাজেলনাট হৃদরোগে উপকারী প্রভাব ফেলে। হ্যাজনালট প্রদাহ হ্রাস করতে এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করার সাথে সাথে রক্তে ভিটামিন ই এর মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ব্রাজিল বাদাম: ব্রাজিল বাদামের উৎস অ্যামাজনে। এটি প্রচুর সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। সেলেনিয়াম এমন একটি খনিজ যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে কাজ করে। খনিজ শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম উপাদান। অল্প কয়েকটি ব্রাজিলিয়ান বাদাম খেলে তা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সেলেনিয়ামের শতভাগ পূরণ করে।
আখরোট: আখরোট ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (এএলএ) এর একটি দুর্দান্ত উৎস। প্রতিদিন আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং রক্ত সঞ্চালন সিস্টেমের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ বজায় থাকে। আখরোট প্রদাহ হ্রাস করতেও সহায়তা করে। ফলে প্রচুর রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট আমাদের মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। একমুঠো আখরোটে ১৮২ ক্যালোরি রয়েছে।
পেস্তা বাদাম: পেস্তায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং এটি খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সহায়তা করে। পেস্তা ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সহায়তা করে। এটি রক্তচাপের উন্নতি, ওজন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস লো অক্সিডযুক্ত রাসায়নিকের রক্তের স্তর যা হৃদরোগে ভূমিকা রাখতে পারে। একমুঠো পেস্তায় প্রায় ১৫৬ ক্যালোরি থাকে।
চিনা বাদাম: চিনা বাদাম গাছের বাদাম নয়। এটি শিমজাতীয় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তবে গাছের বাদামের মতো এতেও একই জাতীয় পুষ্টি রয়েছে। ১,২০,০০০ লোকের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে চিনাবাদাম গ্রহণের ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে। অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, যেসব নারী সপ্তাহে পাঁচদিন চিনাবাদাম খেয়েছিলেন তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম ছিল। এটি হাঁপানির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। একমুঠো চিনাবাদামে ১৭৬ ক্যালোরি রয়েছে।
বাদামে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবারে বাদানম রাখুন। প্রক্রিয়াজাত এবং মশলাদার বাদাম খাবেন না। প্রক্রিয়াজাতজাত বাদামে লবণ এবং চিনি মেশানো থাকে, যা খেলে উপকারের বদলে অপকার মিলবে।
দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন কারো জ্বর হলেই ঘরের সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি…
মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…
ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শুধু যে হাড়ের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও…
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…