চকচকে ত্বকে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠে একটা ব্রণ। আর সেই একটা থেকে অল্প দিনেই ১০ টা। আর তারপর যত সময় যেতে থাকে, ব্রণর সংখ্যা ততো বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের বারোটা বেজে যেতেও সময় লাগে না। আর এমন ঘটনা যখন ঘটতে থাকে, তখন দুশ্চিন্তাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আর এই ব্রণ সাড়াতে আমারা বাজারের বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। অনেক সময় বাজারের এই প্রসাধনী ব্যবহারে ব্রণের মাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
তাই আজকের এই আয়োজনে আপনাদের সুবিধার্থে ব্রণ সাড়ানোর বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
তুলসি পাতা এবং হলুদ
২০ টা তুলসি পাতার সঙ্গে ২ চামচ হলুদ গুড়ো ভাল করে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্টটি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জলে হাফ চামচ করে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন।
এইভাবে ১৫-২০ দিন টানা খেলে দেখবেন ব্রণর প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না। আর যদি দিনে তিনবার এই পেস্টটি খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। আসলে তুলসি পাতা এবং হলুদে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিম এবং গোলাপ জল
চটজল দি ব্রণর প্রকোপ যদি কমাতে চান, তাহলে নিম এবং গোলাপ জল কে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। কারণ এই দুটি উপদানে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন ব্রণর প্রকোপ কমায়, তেমনি ত্বকের ভেতরে পি এইচ লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না।
এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো নিম পাতা নিয়ে ২-৩ মিনিট জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পাতাগুলি সংগ্রহ করে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবার সেই পেস্টের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে তা মুখে লাগানো শুরু করলেই ফল পাবেন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ দিন এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন ব্রণর মতো ত্বকের রোগ সেরে যেতে সময় লাগবে না।
অ্যালোভেরা জেল
অনেক সময় ব্রণর কারণে পুরো মুখ জ্বালা করতে শুরু করে। আর তখনই আমরা খুঁটতে থাকি ব্রণগুলো। ফলে সারা মুখে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক্ষেত্রে অ্যালো ভেরা জেল ভালো কাজে আসতে পারে। এটি ব্রণের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ত্বককে সুন্দর করে তুলতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনো বিকল্প নেই।
বরফের কেরামতি
ব্রণের প্রদাহ কমাতে বরফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুখের যেখানে যেখানে ব্রণ বেরিয়েছে, সেখানে বরফ ঘষা শুরু করুন। অল্প দিনেই দেখবেন ফল মিলতে শুরু করেছে।
কাজে লাগান টুথপেস্টকে
শুনতে একটু আজব লাগছে, কি তাই তো! তবে ব্রণ কমাতে টুথপেস্ট কিন্তু দারুন কাজে আসে। অল্প করে সাদা টুথপেস্ট নিয়ে ব্রণর উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে দেখবেন ব্রণ অনেকটা কমে গেছে।
ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে
খাওয়ার সঙ্গে ব্রণর একটা সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই এই ধরনের ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে ডায়েটের দিকে নজর দেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হল কী কী খাবার খেতে হবে এবং কী কী এড়িয়ে চলতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে প্রথমে ত্বকের প্রকৃতি বুঝে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। তাই এক্ষেত্রে একজন দক্ষ ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
জল যাদু
দেহের ভেতরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে অনেক সময় ব্রেণর প্রকোপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক বের করে দিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা একান্ত জরুরি।